Purulia School: ছাত্র-ছাত্রীরা তো চেনেই না? ‘আমি মাঝে মধ্যে স্কুলে আসি’, জবাব হেডস্যরের
Purulia School: তবে স্কুলে তালা পড়ার পর সোমবার দেখা মিলল সেই প্রধান শিক্ষক বিনয় মাহাতোর। স্কুলে আসেন না? প্রশ্ন করা হতেই তিনি বললেন, 'আসি। মাঝে মধ্যে আসি।' কেন নিয়মিত আসেন না স্কুলে? সেই প্রশ্নেরও জবাব দিলেন প্রধান শিক্ষক।
পুরুলিয়া: প্রধান শিক্ষক নেই। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আছেন। কে সেই হেডস্যার? ভাল করে চেনেই না স্কুলের খুদে পড়ুয়ারা। তাদের বাবা-মায়েরা সেভাবে কোনও দেখেননি প্রধান শিক্ষককে। আর শিক্ষক বলতে মাত্র ২ জন আছেন স্কুলে। কোনও রকমে পঠন-পাঠন চলে। একদিন-আধ দিন নয়, চার-পাঁচ বছর ধরে একই ছবি পুরুলিয়ার সরকারি প্রাথমিক স্কুলে।
এবার প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন গ্রামবাসীরা। পুরুলিয়ার বোরো থানার পুড়দোহা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোমবার পড়ল তালা। দীর্ঘক্ষণ তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, দীর্ঘ চার থেকে পাঁচ বছর ধরে স্কুলে আসেন না স্কুলের প্রধান শিক্ষক। ফলে স্কুলের বিভিন্ন নথিপত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাক্ষরের ক্ষেত্রেও সমস্যার পড়তে হয়। পড়াশোনাও ঠিক মতো হয় না বলে অভিযোগ। গ্রামবাসী থেকে শুরু করে ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকে জানেই না যে কে স্কুলের প্রধান শিক্ষক?
তবে স্কুলে তালা পড়ার পর সোমবার দেখা মিলল সেই প্রধান শিক্ষক বিনয় মাহাতোর। স্কুলে আসেন না? প্রশ্ন করা হতেই তিনি বললেন, ‘আসি। মাঝে মধ্যে আসি।’ কেন নিয়মিত আসেন না স্কুলে? প্রধান শিক্ষকের জবাব, ‘আমার শরীরটা ভাল না।’ তাঁর দাবি, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও এই কথা জানিয়েছেন তিনি। তাঁকে নাকি মাঝে মধ্যেই আসতে বলা হয়েছে।
গ্রামবাসী গোপীনাথ দাস, দিলীপ কিস্কুদের দাবি, তাঁরা বিষয়টা নিয়ে একাধিকবার অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক (SI)-কে জানিয়েছেন। অফিসে গিয়ে অভিযোগপত্র জমাও দিয়ে এসেছেন। তারপরও কোনও কাজ না হওয়ায় এদিন বাধ্য হয়ে তাঁরা স্কুলে তালা দিয়েছেন। গোপীনাথ দাস বলেন, “কে হেডমাস্টার, পডুয়ারাও চেনে না। ৫-৬ বছর ধরে যদি কেউ আসা যাওয়া না করে তাহলে চিনবে কী করে? তাঁদের দাবি, পড়াশোনা হয় না বললেই চলে। দ্রুত এই পরিস্থিতির সমাধান চাইছেন তাঁরা।”