Jhalda Municipality: ঝালদা পৌরসভার আজ আস্থা ভোট হচ্ছে না, হবে নির্দিষ্ট দিনই, জানাল হাইকোর্ট
Jhalda Municipality: অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ১৩ অক্টোবর ঝালদার পুরসভার পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন বিরোধীরা। ১২ আসনের পুরসভার পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং এক জন নির্দল কাউন্সিলর অর্থাৎ মোট ছ’জন অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন।
পুরুলিয়া: নিয়ম মেনে নির্ধারিত দিনেই ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোট হবে। সেক্ষেত্রে সোমবার হচ্ছে না ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোট। স্থগিতাদেশ জারি করল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার একক বেঞ্চ। ১৩ অক্টোবর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। অনাস্থার বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন ঝালদা পৌরসভার ভাইসচেয়ারম্যান সুদীপ কর্মকার। সেই মামলায় সোমবার বিরোধীদের অনাস্থা নোটিস খারিজ করে দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। ঝালদা পৌরসভার সামনে এদিন ১৪৪ ধারা জারি রেখেছে প্রশাসন।
অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ১৩ তারিখে ঝালদার পুরসভার পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন বিরোধীরা। ১২ আসনের পুরসভার পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং এক জন নির্দল কাউন্সিলর অর্থাৎ মোট ছ’জন অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। উল্লেখ্য, সে সময় আস্থা প্রমাণের জন্য কোনও তলবি সভাও ডাকা হয়নি। বিপাকে পড়ে তৃণমূল। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় দল ছাড়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তৃণমূল। উল্লেখ্য, নির্দল প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়ে পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন শীলা।
শীলা এবং তাঁর দলবল সরে আসায় তৃণমূল সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে। ১৩ অক্টোবর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। নিয়ম মেনে পুরপ্রধান ১৫ দিনের মধ্যে কোনও পদক্ষেপ না করায় উপ-পুরপ্রধানের কাছে আবেদন করা হয়। নিয়ম হল, সাত দিনের মধ্যে উপ-পুরপ্রধানের পদক্ষেপ করার কথা। সেই মতো ৩ নভেম্বর উপ-পুরপ্রধান জানিয়ে দেন, আগামী ২১ নভেম্বর আস্থাভোট হবে। গত ৭ তারিখ বিরোধীদের তলবি সভা ডাকার পরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উপপুরপ্রধান।
এদিনের হাইকোর্টের রায়ের পর ঝালদা পৌরসভার পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল বলেন, “হাইকোর্টের রায়ের ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে। হাইকোর্টের রায় আজকে প্রমাণ করে দিয়েছে অনৈতিকভাবে গায়ের জোরে মিটিং ডাকা যায় না। সংবিধান মেনে সকলকে নিয়ে কাজ করা উচিত। যেটা নিয়ম আছে, সেটাই হবে। এটাই বলে দিয়েছে হাইকোর্ট। ৩ জন চেয়ারম্যান যেভাবে ভাইস চেয়ারম্যানের পিরিয়ডটাতে হস্তক্ষেপ করেছে, তাতে আমি মনে করি, আইন অমান্য করেছেন তাঁরা। হাইকোর্টের রায়ের ওপর আস্থা রাখা উচিত।” বিরোধী কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু বলেন, “আমি এখন এ বিষয় নিয়ে কিছু বলতে পারছি না। আমরাই জয়ী হব। হাইকোর্টের নির্দেশ মান্য করছি। বোর্ড আমাদেরই হবে।”