Jhalda Murder Case: দেহ উদ্ধারের পরই মোবাইল ‘উধাও’ নিরঞ্জনের, ঝালদায় সাক্ষীর মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য

Jhalda Murder Case: ঝালদার কাউন্সিলর খুনের অন্যতম সাক্ষীর দেহ উদ্ধার হয়েছে বুধবার সকালে। পাওয়া গিয়েছে সুইসাইড নোটও।

Jhalda Murder Case: দেহ উদ্ধারের পরই মোবাইল 'উধাও' নিরঞ্জনের, ঝালদায় সাক্ষীর মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য
তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ঝালদায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 06, 2022 | 12:55 PM

ঝালদা : কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুন হওয়ার পর থেকেই একের পর এক প্রশ্ন উঠে এসেছে। পুলিশ থেকে শাসক দলের নেতা,  কাউন্সিলর খুনে নাম জড়িয়েছে অনেকেরই। আর বুধবার সকালে নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই দানা বাঁধছে রহস্য। যে ব্যক্তি তপন কান্দুকে চোখের সামনে খুন হতে দেখেছিলেন, যে ব্যক্তিকে গত কয়েকদিন ধরে থানায় ডেকে বসিয়ে রাখা হচ্ছে, সেই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার নিছক আত্মহত্যার ঘটনা না কি অন্য কিছু? সেই প্রশ্নই তুলছেন বিরোধীরা। পরিবারের অভিযোগ, এ দিন নিরঞ্জনের দেহ উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই পাওয়া যাচ্ছে না তাঁর মোবাইল ফোনটি। এই ঘটনাতেও পুলিশের দিকেই আঙুল তুলছে পরিবার।

পুরুলিয়ায় কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নেপাল মাহাতো এ দিন ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে যান ঘটনাস্থলে। তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন, নিরঞ্জনের মোবাইল পাওয়া যাচ্ছে না। সেটি কেউ বা কারা সরিয়ে নিয়ে থাকতে পারে বলেই সন্দেহ কংগ্রেস নেতার। আর অন্যদিকে, নিরঞ্জন দাদা সহ পরিবারের অন্যান্যরাও একই অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের সন্দেহ প্রমাণ লোপাট করতেই কেউ সরিয়ে নিয়েছে মোবাইল। মৃত্যুর আগে কারা ফোন করেছিল নিরঞ্জনকে? সেই প্রমাণ কি সরিয়ে ফেলতে চাইছেন কেউ? প্রশ্ন উঠেছে সেখানেই।

এ দিকে, নিরঞ্জনের দেহের পাশে যে সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে, তা পুলিশের হাতে তুলে দিতে চাইছে না পরিবার। তাঁদের আশঙ্কা, সুইসাইড নোট পুলিশ লোপাট করে দিতে পারে। তপন কান্দু খুনের মামলার বাকি সাক্ষীদেরও নিরাপত্তা দেওয়া দরকার বলে উল্লেখ করেছেন নেপাল মাহাতো। তিনি বলেন, ‘সিবিআই তদন্তভার নেওয়ার পরেও এখনও এল না কেন, কাল এলে হয়ত এই মৃত্যু হত না।’

এ দিকে নিরঞ্জন খুনে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ৩০২ ধারা অর্থাৎ খুনের মামলা, ৩৪ নম্বর ধারা অর্থাৎ একই উদ্দেশ্য নিয়ে অপরাধ ও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, নিরঞ্জন বৈষ্ণবের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ ছিল না। এলাকার ৬ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের পড়াতেন তিনি। দরিদ্র পড়ুয়াদের বিনামূল্যে পড়াতেন তিনি। যে কোনও সময় সাহায্য করতেন এলাকার মানুষকে। এ দিন তাঁর মৃত্যুতে এলাকাবাসী বলছে, একজন ভালো মানুষকেই শুধু হারাননি অসংখ্য পড়ুয়া একজন ভাল শিক্ষককে হারিয়েছে।

আরও পড়ুন : Jhalda Murder Case: সাক্ষী ‘খুন’, এবার কি তবে তপন কান্দুর স্ত্রী? চাঞ্চল্যকর দাবি অধীরের