Jhalda Murder Case: সাক্ষী ‘খুন’, এবার কি তবে তপন কান্দুর স্ত্রী? চাঞ্চল্যকর দাবি অধীরের
Jhalda Murder Case: আরও এক মৃত্যু ঘিরে রহস্য বাড়ছে ঝালদায়। সাত সকালে উদ্ধার তপন কান্দু খুনের অন্যতম সাক্ষীর দেহ।
ঝালদা : বুধবার সকালে একদিকে যখন ঝালদায় চলছে কংগ্রেসের ডাকা বনধ, তারই মধ্যে রহস্যমৃত্যু তপন কান্দু খুনের অন্যতম সাক্ষীর। ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জনের ঝুলন্ত দেহ। উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোটও। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দাবি, আসলে খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। শুধু তাই নয়, অধীরের আশঙ্কা এরপর খুন করা হতে পারে তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমাকেও।
অধীরের দাবি, তপন কান্দু খুনের ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য খুন করা হয়েছে নিরঞ্জনকে। কারণ, তিনি মনে করেন তপন কান্দু খুনের রহস্য উদঘাটন হলে, প্রমাণ হয়ে যাবে পুরুলিয়ার অনেক বড় বড় তৃণমূল নেতারা জড়িত। কোটি কোটি টাকার মালিক ওই সব নেতাদের বাঁচাতেই এই খুন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন অধীর। তপন কান্দু খুনের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে পুলিশ ও তৃণমূল একযোগে ষড়যন্ত্র করছে বলে মনে করেন তিনি।
নিরঞ্জনের মৃত্যু প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘তপন কান্দু হত্যার পর এটা আরও একটা হত্যা। শুধু তাই নয়, এরপর তপন কান্দুর স্ত্রী-কেও হত্যা করা হতে পারে বলে আমি আশঙ্কা প্রকাশ করছি।’ তাঁকে যে ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে, সে কথাও উল্লেখ করেছেন অধীর।
অন্যদিকে, বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী এই ঘটনাকে খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘এটাই দেখাচ্ছে বাংলার আসল চেহারাটা কী। তদন্তে প্রভাব কাকে বলে, প্রমাণ লোপাট করে দেওয়া কাকে বলে, সেটাই আরও একবার স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’ সিবিআই তদন্ত শুরু হয়ে যেতেই কেন একজনের দেহ পাওয়া গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বাম নেতার দাবি, মমতার কথা অনুযায়ী, ‘কেসটা সাজানো হচ্ছে’, সবটা যদি প্রকাশ হয়ে যায় তাই ধামাচাপা দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন : তপন কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, সুইসাইড নোটে বিস্ফোরক দাবি