Purnima Kandu: বিষ খাইয়ে খুন পূর্ণিমা কান্দুকে? ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
Purnima Kandu: গত ১১ অক্টোবর রাতে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। বাড়ি ফিরে পূর্ণিমার সন্তানেরা দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসকরা সেখান তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুরুলিয়া: গুলিতে নিহত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু মৃত্যু ঘিরে শুরু থেকেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল। তাঁর দেওরপো মিঠুন কান্দু দাবি করেছিলেন, তাঁর কাকিমাকে কেউ বা কারা খুন করেছে। এই মৃত্যু যে স্বাভাবিক নয়, তেমনটাই দাবি করেছিলেন তিনি। আর এবার পূর্ণিমা কান্দুর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জল্পনা বাড়াল আরও। কংগ্রেস কাউন্সিলরের পেটে পাওয়া গিয়েছে ক্ষতিকারক পদার্থ। তবে কি বিষ দেওয়া হয়েছিল? উঠছে প্রশ্ন।
ঝালদা পুরসভার ১২নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর ছিলেন পূর্ণিমা কান্দু। দুর্গা পুজোয় নবমীর রাতে আচমকা মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসার সময়ও পাওয়া যায়নি। গত ১১ অক্টোবর রাতে বাড়িতে কেউ ছিলেন না। বাড়ি ফিরে পূর্ণিমার সন্তানেরা দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসকরা সেখান তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বছর ৪২-এর পূর্ণিমার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ে। ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়।
সম্প্রতি ময়নাতদন্তের যে প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে উল্লেখ রয়েছে, পেট থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। কী সেই ক্ষতিকারক পদার্থ, তা স্পষ্ট নয়। মিঠুন কান্দুর বক্তব্য ছিল, স্লো পয়জন দিয়ে মারা হয়েছে তাঁর কাকিমাকে। জেলার কংগ্রেস নেতৃত্বও চেয়েছিল পূর্ণিমার মৃত্যুর সঠিক কারণ সামনে আসুক।
উল্লেখ্য, ২০২২সালের মার্চ মাসের বিকেলে হাঁটতে বেরিয়ে ঝালদা শহরের কাছে গোকুলনগরে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন তপন। সেই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। মামলা এখনও বিচারাধীন। তাঁর মৃত্যুর পর রাজনীতির ময়দানে সক্রিয় হন পূর্ণিমা।