ঝালদায় জমি নিয়ে রণক্ষেত্র, বাধা দিতে গিয়ে কিল-ঘুসি-চড় জুটল সাব ইন্সপেক্টরের
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝালদা-বাঘমুন্ডি রোডে বিতর্কিত জমিতে আবাস যোজনায় ঘর নির্মাণ হচ্ছিল। পুলিস সেই নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার রোষে পড়ে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝালদা-বাঘমুন্ডি রোডে বিতর্কিত জমিতে আবাস যোজনায় ঘর নির্মাণ হচ্ছিল। পুলিস সেই নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে বিক্ষুব্ধ জনতার রোষে পড়ে। ওই জামিতে ১৪৪ জারি ছিল বলে দাবি পুলিসের। মেশ্যা গ্রামের বাসিন্দা কুমুদ রঞ্জন তিওয়ারি ও তাঁর ভাই অশ্বিনী তিওয়ারির আবাস যোজনায় বাড়ি হচ্ছিল। এই খবর পেয়ে দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়ে তদন্তে যান সাব-ইন্সপেক্টর অরিন্দম সাহা। সেখানে তিওয়ারি পরিবারের সঙ্গে বাদুনাবাদ শুরু হয় তাঁর।
আরও পড়ুন- বিনয় মিশ্রর ভাইয়ের নামে লুকআউট নোটিস
জানা গিয়েছে, ওই জমিতে নির্মায়মাণ ঘর ভাঙতে গুজব পড়ে যায় পুলিস অন্যান্য বাড়িও ভাঙছে। এরপরই উত্তেজিত জনতা চড়াও হয় পুলিসের উপর। মারধর করা হয় সাব ইন্সপেক্টর অরিন্দম সাহাকে। আরও দুই আধিকারিকেও মারধর করা হয়েছে বলে পুলিসের দাবি। হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সাব ইন্সপেক্টরকে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কুমুদ তিওয়ারি জানান, তাঁদের পৈতৃক জমির অংশীদারদের কাছ থেকে জামলহর গ্রামের পুরন্দর মাহাত নামে এক ব্যক্তি কিছু জমি কিনেছেন। তবে তাঁরা যে জমিতে ঘর নির্মাণ করছিলেন তা সেই বিক্রি হয়ে যাওয়া জমিতে নয়।
অন্যদিকে পুরন্দর মাহাতর পরিবাররের তরফ পালটা দাবি করা হয়, তাঁদের কেনা জমিতেই কুমুদ রঞ্জন তিওয়ারি ও তাঁর ভাই অশ্বিনী তিওয়ারি নির্মাণ করছিলেন। বাধা দেওয়া সত্ত্বেও মানেননি তাঁরা। তখন থানায় গিয়ে বিষয়টি জানান হয়। তবে, পুলিসকে মারধরের বিষয়ে অস্বীকার করে তিওয়ারির পরিবার। এ ঘটনায় তদন্তে নেমেছে ঝালদা থানার পুলিস।