Purulia: রেকর্ড ভুক্ত জমি কি ভাবে অন্যের নামে হয়ে গেল? ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের জমিতে ‘নির্মাণ’ নিয়েই প্রশ্ন

Purulia: পুরুলিয়া শহরের ৩নম্বর ওয়ার্ডের সাহেব বাঁধের পাশেই রয়েছে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্যালয়। এই ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মোট জমির পরিমাণ  ১ একর ৪৪ডেসিমিল। ১৯৮১ ও ১৯৯৫ সালে ২ ধাপে সেই জমি কেনে ভারত সেবশ্রম। সেই জমি পুরুলিয়া ১নন্বর ব্লক থেকে রেকর্ডও করা হয়।

Purulia:  রেকর্ড ভুক্ত জমি কি ভাবে অন্যের নামে হয়ে গেল? ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের জমিতে নির্মাণ নিয়েই প্রশ্ন
ভারত সেবাশ্রমের জমি দখলের অভিযোগImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 23, 2025 | 3:34 PM

পুরুলিয়া:  ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের জমি দখল করে নির্মাণ করার অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিল পুলিশ। পুরুলিয়া শহরের ৩নম্বর ওয়ার্ডে ভারত শ্রেবাশ্রমের কার্যালয়ের জমির ৬.২৪ডেসিমিল জমি দখল করে নির্মাণ কাজ শুরু করেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। তার পরেই ভারত সেবাশ্রম সংঘের পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে ২পক্ষকেই থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে।

পুরুলিয়া শহরের ৩নম্বর ওয়ার্ডের সাহেব বাঁধের পাশেই রয়েছে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্যালয়। এই ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মোট জমির পরিমাণ  ১ একর ৪৪ডেসিমিল। ১৯৮১ ও ১৯৯৫ সালে ২ ধাপে সেই জমি কেনে ভারত সেবশ্রম। সেই জমি পুরুলিয়া ১নন্বর ব্লক থেকে রেকর্ডও করা হয়।

সেই জমির একটা অংশ ২০২৪ সালে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর অন্যের নামে রেকর্ড করে দেয় এমনটাই অভিযোগ মহারাজদের। জানাজানি হতেই ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে যোগাযোগ করে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মহারাজরা। জানতে চাওয়া হয় কীভাবে এই রেকর্ড করা জমি অন্যের নামে হয়ে গেল! অভিযোগ, কোন সদুত্তর দিতে পারেনি পুরুলিয়া ১নম্বর ব্লকের ভূমি সংস্কার দফতরের অধিকারিক।
যাঁদের নামে জমির রেকর্ড করা হয় সেই আনন্দ সারিয়া ও স্নেহা সারিয়া জমিটি বিক্রি করে দেয় ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা পায়েল সরকারকে। আর সেই জমিতে নির্মাণ কাজ শুরু হতেই থানার দারস্থ হন ভারত সেবশ্রম কর্তৃপক্ষ।

পুলিশ এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়। ২পক্ষকেই জমির কাগজ নিয়ে ডেকে পাঠানো হয় থানায়। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মহারাজদের অভিযোগ খবর পেয়েই আমরা পুরুলিয়া ১নন্বর ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে বিষয়টি জানায় কিন্তু কোনও রকম সহযোগিতা পায়নি। তারা জেলা ভূমি সংস্কার দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। তাঁদের সন্দেহ পুরুলিয়া ১নম্বর ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর থেকেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

যদিও সেই জমিতে যারা নির্মাণকাজ করছেন সেই জমির মালিকের স্বামী অরূপ সরকার বলেন, “ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের যদি হয় হয়, তাহলে জমির কাগজ দেখাক। তারা অভিযোগ জানানোয় কাজ বন্ধ করে দিল পুলিশ। থানায় ডেকেছে কাগজপত্র নিয়ে যাচ্ছি। তিনি একটি জমির দলিলের উল্লেখ করে বলার চেষ্টা করেন জমিতে একজন মহারাজের সই রয়েছে। কিন্তু বাস্তব হল অন্য একটি জমি বিক্রির সময় সেই মহারাজ সাক্ষী রয়েছেন।” এখন প্রশ্ন, রেকর্ড ভুক্ত জমি কি ভাবে অন্যের নামে হয়ে গেল?