Unnatural Death Of Home Guard: চারিদিকে চাপ চাপ রক্ত, এলোমেলো ঘর, পুলিশ আবাসন থেকে উদ্ধার স্পেশাল হোমগার্ড ও ছেলের দেহ!

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Jan 24, 2022 | 3:11 PM

Crime News: এরপর নিজের সন্তানকে গলা টিপে খুন করেন ওই হোমগার্ড। তাঁর স্ত্রী সাহায্যের জন্য প্রতিবেশীদের কাছে ছুটে যান।   কিন্তু ততক্ষণে যে বিপদ হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে।

Follow Us

পুরুলিয়া: মেঝেয় চাপ চাপ রক্ত, লন্ডভন্ড গোটা ঘর! মেঝেতে নিথর হয়ে পড়ে রয়েছে দুটি দেহ (Dead Body)! একটি স্পেশাল হোমগার্ডের অন্যটি তাঁর ছেলের। সোমবারের সকালে পুলিশ লাইনের আবাসনের ভেতরে এমন ঘটনা ঘটায়  কার্যত হকচকিয়ে গিয়েছেন খোদ পুলিশ কর্তারাও।

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে মৃত স্পেশাল হোমগার্ডের নাম হেমন্ত হেম্ব্রম। তিনি স্ত্রী এবং নাবালক সন্তানকে নিয়ে পুরুলিয়া বেলগুমা পুলিশ লাইন আবাসনে থাকতেন । জানা গিয়েছে স্বামী স্ত্রী দুজনেই প্রাক্তন মাওবাদী (Ex Maoist) ছিলেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে বনিবনা ছিলনা। প্রায়ই দাম্পত্য কলহ লেগে থাকত। আজ সকালেও দুজনের মধ্যে ঝামেলা বাধে।

এরপর নিজের সন্তানকে গলা টিপে খুন করেন ওই হোমগার্ড। তাঁর স্ত্রী সাহায্যের জন্য প্রতিবেশীদের কাছে ছুটে যান।   কিন্তু ততক্ষণে যে বিপদ হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। যখন স্ত্রী ফিরে আসেন, প্রতিবেশীরাও দেখেন, ঘরের মেঝে ভরেছে রক্তে। তারমধ্যেই পড়ে রয়েছেন হেমন্ত ও তাঁর ছেলে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তারা। যদিও সংবাদমাধ্যমকে কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। আবাসনেরই এক বাসিন্দার কথায়, “কখনও তো খারাপ কিছু শুনিনি। তবে এইটা কানে আসত, যে স্বামী-স্ত্রীতে বিশেষ বনিবনা নেই। মাঝেমধ্যেই দু’জনে ঝগড়াঝাটি করতেন। কিন্তু, তেমন ঘরোয়া অশান্তি তো সব বাড়িতেই হয়। তাতে যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তাই কেউ ভাবতে পারেনি।”

অন্য আরেক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, “সকালবেলা থেকেই চিৎকার শুনছিলাম। তারপর হঠাৎ সব চুপচাপ হয়ে যায়। ভেবেছিলাম থেমে গিয়েছে। তারপরেই শুনি, হেমন্তবাবুর স্ত্রী সাহায্য চাইছেন। ছুটে গিয়ে তাঁর সঙ্গে ঘরে যেতে যেতে সব শেষ! ওইটুকু সময়ের মধ্যে যে এতবড় ঘটনা ঘটে যাবে তা ভাবাই যায় না।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমন্তের গলায় গভীর ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। শুধু তাই নয়, তাঁর ব্যবহার করা ছুরিটিও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রথমে ছেলেকে খুন করেন হেমন্ত। পরে নিজে আত্মহত্যা করেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কেবলমাত্র দাম্পত্য কলহের জন্যই এই পরিণতি না এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহ দুটি ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। কার্যত, পুলিশ আবাসনের মধ্যেই এরকম ঘটনা ঘটায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh on IAS Cadre Rules: ‘পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু একই ক্যারেক্টার…নিজেদের সবসময় আলাদা মনে করেন!’

আরও পড়ুন:  Taslima Nasrin’s tweet: নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি স্থাপনে ‘গর্বিত’ তসলিমা, ‘আদর্শও সম্মানিত হোক’, টুইট লেখিকার

আরও পড়ুন: COVID19 Protocol: মাস্ক ছাড়াই লিট্টি-চোখা উৎসবে মত্ত তৃণমূল মেয়র পারিষদ, চোখের সামনে সব দেখেও ‘নীরব’ মেয়র!

 

পুরুলিয়া: মেঝেয় চাপ চাপ রক্ত, লন্ডভন্ড গোটা ঘর! মেঝেতে নিথর হয়ে পড়ে রয়েছে দুটি দেহ (Dead Body)! একটি স্পেশাল হোমগার্ডের অন্যটি তাঁর ছেলের। সোমবারের সকালে পুলিশ লাইনের আবাসনের ভেতরে এমন ঘটনা ঘটায়  কার্যত হকচকিয়ে গিয়েছেন খোদ পুলিশ কর্তারাও।

সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে মৃত স্পেশাল হোমগার্ডের নাম হেমন্ত হেম্ব্রম। তিনি স্ত্রী এবং নাবালক সন্তানকে নিয়ে পুরুলিয়া বেলগুমা পুলিশ লাইন আবাসনে থাকতেন । জানা গিয়েছে স্বামী স্ত্রী দুজনেই প্রাক্তন মাওবাদী (Ex Maoist) ছিলেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে বনিবনা ছিলনা। প্রায়ই দাম্পত্য কলহ লেগে থাকত। আজ সকালেও দুজনের মধ্যে ঝামেলা বাধে।

এরপর নিজের সন্তানকে গলা টিপে খুন করেন ওই হোমগার্ড। তাঁর স্ত্রী সাহায্যের জন্য প্রতিবেশীদের কাছে ছুটে যান।   কিন্তু ততক্ষণে যে বিপদ হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। যখন স্ত্রী ফিরে আসেন, প্রতিবেশীরাও দেখেন, ঘরের মেঝে ভরেছে রক্তে। তারমধ্যেই পড়ে রয়েছেন হেমন্ত ও তাঁর ছেলে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তারা। যদিও সংবাদমাধ্যমকে কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। আবাসনেরই এক বাসিন্দার কথায়, “কখনও তো খারাপ কিছু শুনিনি। তবে এইটা কানে আসত, যে স্বামী-স্ত্রীতে বিশেষ বনিবনা নেই। মাঝেমধ্যেই দু’জনে ঝগড়াঝাটি করতেন। কিন্তু, তেমন ঘরোয়া অশান্তি তো সব বাড়িতেই হয়। তাতে যে এমন ঘটনা ঘটতে পারে তাই কেউ ভাবতে পারেনি।”

অন্য আরেক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, “সকালবেলা থেকেই চিৎকার শুনছিলাম। তারপর হঠাৎ সব চুপচাপ হয়ে যায়। ভেবেছিলাম থেমে গিয়েছে। তারপরেই শুনি, হেমন্তবাবুর স্ত্রী সাহায্য চাইছেন। ছুটে গিয়ে তাঁর সঙ্গে ঘরে যেতে যেতে সব শেষ! ওইটুকু সময়ের মধ্যে যে এতবড় ঘটনা ঘটে যাবে তা ভাবাই যায় না।”

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হেমন্তের গলায় গভীর ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। শুধু তাই নয়, তাঁর ব্যবহার করা ছুরিটিও উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, প্রথমে ছেলেকে খুন করেন হেমন্ত। পরে নিজে আত্মহত্যা করেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কেবলমাত্র দাম্পত্য কলহের জন্যই এই পরিণতি না এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহ দুটি ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। কার্যত, পুলিশ আবাসনের মধ্যেই এরকম ঘটনা ঘটায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh on IAS Cadre Rules: ‘পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু একই ক্যারেক্টার…নিজেদের সবসময় আলাদা মনে করেন!’

আরও পড়ুন:  Taslima Nasrin’s tweet: নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি স্থাপনে ‘গর্বিত’ তসলিমা, ‘আদর্শও সম্মানিত হোক’, টুইট লেখিকার

আরও পড়ুন: COVID19 Protocol: মাস্ক ছাড়াই লিট্টি-চোখা উৎসবে মত্ত তৃণমূল মেয়র পারিষদ, চোখের সামনে সব দেখেও ‘নীরব’ মেয়র!

 

Next Article