Crime in Purulia: বারবার কুড়ুল তুলে স্বামীকে ভয় দেখাচ্ছিলেন, সিঁথির সিঁদুর এভাবে মুছে যাবে ভাবেননি স্ত্রী
Purulia Murder: সোমবার রাতের ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বুধনী হাঁসদা নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। আগামিকাল তাঁকে পেশ করা হবে পুরুলিয়া আদালতে। এদিকে ওই ব্যক্তির দেহটিও পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে।
পুরুলিয়া: সংসারে টানাপোড়েন লেগেই ছিল। মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হত। অশান্তি হত। সোমবার সন্ধেয় তা চরমে পৌঁছায়। আর তাতেই চরম পরিণতি। স্ত্রীর হাতে কুড়ুলের আঘাতে মৃত্যু হল স্বামীর। ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার বলরামপুর থানা এলাকার খুনটাড় গ্রামে। মৃতের নাম সোনারাম হাঁসদা (৩৫)। সোমবার রাতের ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বুধনী হাঁসদা নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়। আগামিকাল তাঁকে পেশ করা হবে পুরুলিয়া আদালতে। এদিকে ওই ব্যক্তির দেহটিও পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া মেডিক্যাল কলেজে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ওই দম্পতির মধ্যে মাঝে মধ্যেই অশান্তি লেগে থাকত। গতকাল সন্ধেতেও স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা শুরু হয়েছিল সোনারাম হাঁসদার। জানা যাচ্ছে, সেই সময় ঘরের মধ্যে পড়ে থাকা একটি কুড়ুল উঁচিয়ে স্বামীকে ভয় দেখাতে থাকেন বুধনী। তখনই কুড়ুলের মোক্ষম আঘাত গিয়ে লাগে সোনারামের কানের পাশে। সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁশগড় গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোনারামকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে গতরাতের ওই ঘটনার পর ইতিমধ্যেই সোনারামের স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, মৃতের স্ত্রী দাবি করছেন, ভুলবশত এই ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তবে তদন্তে নেমে সব দিক খতিয়ে দেখছেন পুলিশকর্মীরা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কী কারণে ঝামেলা লেগে থাকত, কোনও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল কি না, তাও তদন্তের আওতায় রাখা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।