গোসাবা: ৮ জুন পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে লাগাতার আসতে থাকে অশান্তির খবর। উত্তরবঙ্গ (North Bengal) থেকে দক্ষিণবঙ্গ (South Bengal), একাধিক জেলায় ঝরেছে রক্ত। গিয়েছে প্রাণ। মঙ্গলবারই ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। তবে অশান্তি থামল না এদিনও। মনোনয়ন প্রত্যারের শেষ দিনে ব্যাপক ঝামেলায় জড়ালেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) দুই নেতা। গোসাবা ব্লকের অন্তর্গত শম্ভু নগর গ্রাম পঞ্চায়েতে আসন বণ্টনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিডিও অফিসের মধ্যেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান বরুণ ওরফে চিত্র প্রামাণিক ও এলাকায় তাঁর বিরোধী বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা পরিতোষ হালদার। ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন দুই নেতার অনুগামীরাও।
খবর পেয়ে এলাকায় আসে গোসাবা থানার পুলিশ। অশান্তি থামাতে দুই নেতাকেই তুলে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। যদিও সেই ভাবে কোনও সমস্যা হয়নি বলে দাবি তৃণমূল নেতা অনিমেষ মণ্ডলের। তিনি বলছেন, “আসলে যেটা রটেছে সেরকম কিছু হয়নি। যা সমস্যা হয়েছিল আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে মিটে গিয়েছে। আসলে বিরোধীরা ইচ্ছা করেই ভুল তথ্যা রটাচ্ছে। তৃণমূলকে খারাপ দেখাতেই এটা করছে। বাস্তবে তৃণমূলের সবাই একজোট হয়েই রয়েছে। আগামীতেও আমারা একসঙ্গেই থাকব।”
যদিও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক বিকাশ সর্দার বলেন, “শম্ভুনগরে তো শাসকদলের সমাজবিরোধীরা বিরোধীদের পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি। বোমা-বন্দুক দিয়ে বিরোধীদের শূন্য করতে চেয়েছে। এটা গণতন্ত্রের লজ্জা। বিডিও অফিসের সামনে বোমাবাজি করেছে, গোলাগুলি চালিয়েছে। পুলিশ-প্রশাসন যদি এদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করত তাহলে ২০ তারিখের মধ্যে বাংলায় বহু মানুষ ভোটে লড়তে পারতেন। আর যাদের থানায় নিয়ে গিয়েছে ওটা একটা আই ওয়াশ। পুলিশ দেখাতে চাইছে ওরা কাজ করছে। আসলে এটা জামাই আদর।”