ভাঙড়: কখনও পুলিশ-প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি, কখনও বিরোধীদের চমকানি, বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তিনি মোটামুটি খবরের শিরোনামেই থাকেন। আরাবুল ইসলামের একদা ঘনিষ্ঠ। তিনি ভাঙড়ের দাপুটে তৃণমূল নেতা মোদাসে্সর হোসেন। কিন্তু তিনি এবার ভাঙড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট পেলেন না। টানা পনেরো বছর ভাঙড় ২ ব্লকের ভোগালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন তিনি। বরাবরই বিতর্কিত কথা বার্তা বলে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন। আবার একের পর এক ‘লভ হাউজ়়’ তৈরি করায় তাঁকে নিয়ে চর্চাও কম হয়নি। কয়েক বছরে অগাধ সম্পত্তি করায় তাঁর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলাও হয়েছে। ভাঙড়ের সেই বিতর্কিত একদা আরাবুল ঘনিষ্ট প্রধান মোদাসে্সর হোসেন পঞ্চায়েতের টিকিট পেলেন না এবার। যা নিয়ে জোর বিতর্ক দেখা দিয়েছে ভাঙড়ে।
মোদাসে্সর হোসেন ভোগালি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান। ভাঙড় শিস হাসাপাতালের কাছে মোদাসেরের প্রাসাদপ্রম ভবন। ভবনের গায়ে ইটের তৈরি বড় বড় হৃদয়ের চিহ্ন। তাই এই বাড়িটাকে লোকে লভ হাউজ় বলে জানেন। এরকম একটা বাড়ি নয়, বেশ কয়েকটা প্রাসাদপম বাড়ি তৈরি করেছেন ভাঙড় ২ ব্লকের ভোগালি ২ পঞ্চায়েতের প্রধান মোদাসের।
বছরখানেক আগে বগটুই কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া আনারুলের বাড়ির মত মোদাসে্সরের বাড়ি নিয়ে চর্চা হয়েছিল। সেই বাড়ির মালিক ভোগালি ২ অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি মোদাসে্সর হোসেন এবার টিকিট না পাওয়ায় জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ভোগালি ২ পঞ্চায়েত এলাকায় মোট ১৮ টি সাংসদ আছে। এর মধ্যে ১ নম্বর সাংসদ বা ১৭৫ নম্বর বুথে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন মোদাসে্সর হোসেন ও হাকিমুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ আলিনুর মোল্লা। আর ২ নম্বর সাংসদ বা ১৭৬ নম্বর বুথে প্রার্থী হয়েছেন মোদাসে্সরের স্ত্রী পাপিয়া পারভিন। সোমবার তৃণমূলের তরফ থেকে প্রার্থীদের প্রতীক দেওয়া হয়।
অভিযোগ, স্ত্রীকে তৃণমূলের প্রতীক দেওয়া হলেও মোদাসে্সরকে দেওয়া হয়নি। তাঁর পরিবর্তে আলিনুর নামে এলাকারই এক যুবককে টিকিট দেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে কিছুটা হলেও অভিমানী মোদাসে্সর হোসেন। তিনি বলেন, “এত বছর দলের জন্য পরিশ্রম করলাম, পঞ্চায়েত চালালাম দায়িত্ব নিয়ে আর এখন টিকিট অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়া হল। আমার কিছু বলার নেই। তবে আমি এখনও দলের অঞ্চল সভাপতি।” পঞ্চায়েতের টিকিট পাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি দলের উচ্চ নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান।