ক্যানিং: সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার ক্যানিং ১ নম্বর ব্লক। ব্লকের মোট গ্রাম পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat) সংখ্যা ১০। গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম সভার আসন সংখ্যা ২৪১টি। পঞ্চায়েত সমিতির আসন সংখ্যা ৩০টি। সূত্রের খবর, এই ব্লকে একটিও আসনে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি। যার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওয়াক ওভার পেয়ে গেল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। যা ক্যানিংয়ের বুকে এক বিরলতম ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে জয় নিশ্চিত হতেই সবুজ আবির নিয়ে গোটা এলাকায় বিজয়োল্লাসে মাততে দেখা গেল ঘাসফুল শিবিরের কর্মীদের।
যদিও মনোনয়নের প্রথম দিন থেকে বিরোধী বিজেপি (BJP), সিপিএম, আইএসএফ, কংগ্রেস ও এসইউসিআই আক্রমণের মুখে পড়েছে। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির শাসকদলের দিকে। এমনকি মনোনয়ন পর্বের অশান্তিতে গোলাগুলিও চলে ক্যানিংয়ে। চলে ইটবৃষ্টি। তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পরিস্থিতি দেখতে ক্যানিংয়ে এসেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজ্যপালকে সামনে পেয়ে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন বিরোধীরা।
মনোনয়ন জমা করতে না পেরে এর আগে বিরোধী দলগুলি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগও জানিয়েছিল। কড়া বার্তাও দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এরইমধ্যে এবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল প্রার্থীরা জিতে যাওয়ায় তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। এদিন দুপুর থেকেই ক্যানিং মহকুমা শহরের রাস্তায় সবুজ আবির নিয়ে বিজয় উৎসবে মাতলেন তৃণমূল কর্মীরা। এই সাফল্য দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করেছেন ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক পরেশরাম দাস। তিনি বলছেন, “মা-মাটি-মানুষ সরকারের উন্নয়নের চাবিকাঠিই এই বিপুল জয়ের মূল কারণ। সাধারণ মানুষ চায় ক্যানিংয়ের বুকে আরও উন্নয়ন হোক।”
অন্যদিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমন জয় মেনে নিতে নারাজ বিরোধী বিজেপি শিবির। তাঁদের অভিযোগ, ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকে বোমাবাজি, গোলাগুলি চালিয়ে ভয় দেখিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এভাবেই গায়ের জোরে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে শাসকদল, এমনই অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের।