Sundarban: ভোট আসে ভোট যায়, বদলায় না সুন্দরবনের বাঁধের চিত্র, ক্ষোভ গ্রামবাসীদের

Sundarbans: নদী ভাঙন এখানকার লোকজনের অন্যতম দুশ্চিন্তার কারণ। ভাঙনের গ্রাসে কত মানুষের ঘর যে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে, তার ঠিক নেই। শুধু মাথার উপর ছাদ নয়, গঙ্গার ভাঙন গিলে খেয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি।

Sundarban: ভোট আসে ভোট যায়, বদলায় না সুন্দরবনের বাঁধের চিত্র, ক্ষোভ গ্রামবাসীদের
সুন্দরবনের ছবিImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: Soumya Saha

Sep 15, 2023 | 1:12 PM

নামখানা: ভোট আসে ভোট যায় । প্রতিশ্রুতির পর প্রতিশ্রুতি। কিন্তু বদলায় না সুন্দরবনের বাঁধের চরিত্র। কোটাল এলেই বাণভাসি হওয়ার আশঙ্কায় তটস্থ হয়ে থাকেন সুন্দরবনের মানুষ। শুরুটা হয়েছিল সেই ২০০৯ সালে। আয়লার ঘূর্ণিতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। তারপরও অনেক দুর্যোগ এসেছে সুন্দরবনে। একটা ধাক্কা সামাল দিতে না দিতেই আবার ধাক্কা। নামখানা, কাকদ্বীপ, সাগর, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘির বিস্তীর্ণ এলাকায় এটাই বাস্তব চিত্র। নদী ভাঙন এখানকার লোকজনের অন্যতম দুশ্চিন্তার কারণ। ভাঙনের গ্রাসে কত মানুষের ঘর যে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে, তার ঠিক নেই। শুধু মাথার উপর ছাদ নয়, গঙ্গার ভাঙন গিলে খেয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি।

পূর্ণিমা-অমাবস্যার কোটালে তো চিন্তা থাকেই, তার উপর এখন আবার বর্ষার মরশুম। এই সময়টা দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যায় সুন্দরবনের নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। কখন যে আবার নদী বাঁধে ফাটল ধরে যায়, সেই নিয়ে রাতের ঘুম উড়ে যায় বাসিন্দাদের। সর্বক্ষণ ভাঙনের আশঙ্কায় দিন গোনেন তাঁরা। প্রশাসন থেকে প্রতিবারই আশ্বাস মেলে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু কাজের কাজ বিশেষ কিছুই হয় না বলে ক্ষোভ স্থানীয় বাসিন্দাদের।

রাজনৈতিক দলগুলির উপরেও ক্ষোভ জমে রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে। বলছেন, ভোট এলেই রাজনীতিকরা আসেন, প্রতিশ্রুতির বহর পড়ে যায়। কিন্তু ভোট মিটলেই সেই আগের মতোই অবস্থা। বাঁধ মেরামত বলতে বাঁশ আর কাঠ দিয়ে রেলিং। আর সঙ্গে মাটি ও বালির বস্তা। কিন্তু এতে বিশেষ কোনও লাভ হয় না বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। তাই কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সতর্কতা জারি হলেই আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যান এলাকাবাসীরা।