সাগর: গোয়ালঘরেই নাকি চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র (ICDS Center)। আর সেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকেই দেওয়া খাবারে পোকা থাকার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগর ব্লকে। এই এলাকার মুড়িগঙ্গার দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। প্রতিদিনের মতো এদিনও ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে প্রসূতি ও শিশুদের জন্য খাবার দেওয়া হয়। খিচুড়ি দেওয়া হয়েছিল শনিবার। সেই খিচুড়়ির মধ্যে সোয়াবিনও দেওয়া হয়েছিল। এদিন খাওয়ার সময় সেই খিচুড়ির মধ্যে পোকা পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। ততক্ষণে অনেকে খিচুড়ি খেয়েও ফেলেছিল। খবর চাউর হতেই এলাকার প্রসূতি মহিলাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।
এক মহিলা জানান, “দিদিমণির কাছে এসেছিলাম বিষয়টি নিয়ে। দিদিমণি বলছেন, দুটি পোকা দেখেছি সোয়াবিনে। কিন্তু সেগুলি ফেলে দেওয়া হয়েছে।” এর পাশাপাশি গোয়ালঘরের পাশে পড়ানো, সেখানেই রান্না করা… এমন অবস্থা নিলেও ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দা। তাঁদের প্রশ্ন, “গোয়ালঘরের পাশে, গোয়ালঘরের ভিতরে কি পড়াশোনা হয় বাচ্চাদের?” খিচুড়িতে পোকা থাকার ঘটনাই শুধু নয়, খাবারের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ঠিকমতো খাবার দেওয়া হোক।
যদিও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর বক্তব্য, ওই সোয়াবিন দোকান থেকে কিনে আনা হয়েছিল। ভিতরে পোকা ছিল, তা বোঝা যায়নি। দোকান থেকে এনেছি, কোনওকারণে পোকা ছিল। ওই সোয়াবিন দোকানে ফেরত দিয়ে দেব এবং আগামী দিনে যাতে ভাল সোয়াবিন দেওয়া হয়, সেটি দেখব। আমাদের এখানে তো সেন্টারে মজুত রাখার ব্যবস্থা নেই। দোকান থেকে কিনে এনে দেওয়া হয়েছিল। প্রসঙ্গত, মুড়িগঙ্গা দুই নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটিতে প্রায় ৫০ জন পড়ুয়া রয়েছে। এই ঘটনার বিষয়ে কাকদ্বীপের মহকুমাশাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
তবে অঙ্গনওয়াড়ির খাবারের মান নিয়ে এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার এই ধরনের অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের একাধিক জেলায়। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল সাগরের মুড়িগঙ্গা এলাকার এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটিও।