বাসন্তী: এলাকায় চলছিল বোমা তৈরির কাজ। গোপন সূত্রে সেই খবর পেয়েই হানা দিল পুলিশ। খবর পেয়ে ঠিক জায়গায় পৌঁছতেই পাওয়া গেল ড্রাম ভর্তি বোমা। প্রায় ১৫ টির বেশি বোমা ছিল ওই এলাকায়। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও দুজনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
এলাকায় দুষ্কর্ম করার জন্যই বোমা বাঁধা হচ্ছিল বলে পুলিশের অনুমান। গোপন সূত্রে সেই খবর পায় পুলিশ। বাসন্তী থানা এলাকার কাঠাল বেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এলাকায় হানা দিয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে এক ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা। সেই সঙ্গে বোমা তৈরির ঘটনায় জড়িত দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে বোমা তৈরির সরঞ্জামও। শনিবার এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে বাসন্তী থানা এলাকার কাঠালবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খেড়িয়া উত্তর ভাঙ্গন খালি গ্রামে। এ দিন সেই গ্রামে গোপনে বোমা তৈরির খবর আসতেই বাসন্তী থানার ওসি আব্দুর রব খান সহ বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছন ক্যানিংয়ের এসডিপিও গোবিন্দ শিকদার।
যদিও পুলিশ আসার আগেই গা ঢাকা দেয় এলাকার দুই সমাজবিরোধী। ওই দুই ভাই হল দাদা হায়দার লস্কর ও ভাই শফিউল লস্কর। তাদের বাড়ি লাগোয়া জমিতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ একটি বোমা ভর্তি ড্রামের হদিশ পায়। যার মধ্যে প্রায় ১৫ টির বেশি বোমা রয়েছে বলে অনুমান পুলিশের।
এরপর পুলিশ দুই ভাইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করেছে বোমা তৈরির আরও নানা সরঞ্জাম। বোমা তৈরির ঘটনায় জড়িত দু জনকে গ্রেফতার করা হয় ঘটনাস্থল থেকেই। এ দিকে বোমা-গুলিকে নিষ্ক্রিয় করতে খবর দেওয়া হয়েছে বোম স্কোয়াডকে। রবিবার বোম স্কোয়াড এসে ওই বোমা-গুলিকে নিষ্ক্রিয় করে। বোমা-গুলি ঘিরে রাখতে মোতায়েন করা হয় পুলিশ বাহিনী। সেই সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া ওই দুই সমাজবিরোধীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আব্বাসের সভার আগেই আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ভাঙড়, পুলিশের দিকে আঙুল তুলছেন নওশাদ