TMC-ISF: আব্বাসের সভার আগেই আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ভাঙড়, রাতেই হাসপাতালে নওশাদ

Bhangar: অভিযোগ, আব্বাস সিদ্দিকির ধর্মীয় সভা ভেস্তে দিতেই তৃণমূল আব্বাস অনুগামীদের হুমকি দিতে থাকে।

TMC-ISF: আব্বাসের সভার আগেই আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ভাঙড়, রাতেই হাসপাতালে নওশাদ
হাসপাতালে নওশাদ সিদ্দিকি (শনিবার ঘটনার পরের ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2021 | 1:15 AM

ভাঙড় : তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভাঙড়। আইএসএফ কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ভাঙড় ১ নম্বর ব্লকের পদ্মপুকুর এলাকার ঘটনা। সূত্রের খব, আগামিকাল আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকির একটি ধর্মীয় সভা করার কথা ছিল। সেই সভার আগেই এলাকায় ছড়াল উত্তেজনা। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় থানার বড়ালী মালঞ্চ এলাকায় ১ নম্বর ব্লকে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আইএসএফ কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। খবর পেয়েই এ দিন হাসপাতালে ছুটে যান বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। আহতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

শনিবার সন্ধে থেকে উত্তপ্ত গোটা এলাকা। পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় কেউ কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি এখনও পর্যন্ত। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার দুপুরে ভাঙড়ের বড়ালী পদ্মপুকুর এলাকায় সুন্নাতুল জামাতের কর্ণধার তথা পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির একটি ধর্মীয় সভা করার কথা রয়েছে। অভিযোগ, সেই ধর্মীয় সভা ভেস্তে দিতেই তৃণমূল আব্বাস অনুগামীদের হুমকি দিতে থাকে। আহলে সুন্নাতুল জামাতের কর্মীরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে উভয়পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল বেধে যায় বলে স্থানীয় সূত্রে জামা গিয়েছে।

আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা ওই এলাকায় আব্বাস অনুগামীদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে। আসাদুল মোল্লা নামে এক আহলে সুন্নাতুল জামাতের কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে ভাঙড় থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। শনিবার রাত পর্যন্ত এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁদের চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি এ দিন ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, প্রশাসনের একটা অংশ একন সরকারের কথায় উঠছে বসছে। এলাকা থেকে আইএসএফ মুছে ফেলতে চাইছে তারা। যখন দেখছে জোর করে ঝাণ্ডা ধরিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না, তখন এ সব করছে। এই ঘটনার সঙ্গে এলাকার পুলিশ প্রশাসনের যোগ রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন নওশাদ। এলাকার তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তাঁর কাছে কোনও খবর নেই।

ভাঙড়ে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ অবশ্য নতুন নয়। ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’য় নিহত হন দেগঙ্গার আইএসএফ কর্মী হাসানুর জামান। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমে তাঁর বাড়িতে সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা গিয়েছেন একাধিকবার।

গত ২ রা মে একুশের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছিল। এর পরদিন অর্থাৎ ৩ মে দেগঙ্গা বিধানসভার দত্তপুকুরে আইএসএফ কর্মী হাসানুর জামানকে মাঠের মধ্যে বোমা মেরে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় আইএসএফের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি তোলা হয়েছিল।

আরও পড়ুন : KMC: কলকাতা পুরসভায় শূন্যপদ ২৮ হাজারের বেশি, প্রশ্নের মুখে পরিষেবা