KMC: কলকাতা পুরনিগমে শূন্যপদ ২৮ হাজারের বেশি, প্রশ্নের মুখে পরিষেবা

KMC: কর্মী সংখ্যা ব্যাপক হারে কমতে থাকায় প্রভাব পড়েছে পরিষেবায়। ডেঙ্গি দমনেও কর্মীর অভাব বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

KMC: কলকাতা পুরনিগমে শূন্যপদ ২৮ হাজারের বেশি, প্রশ্নের মুখে পরিষেবা
অলংকরণ: অভীক দেবনাথ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 07, 2021 | 1:10 AM

কলকাতা : কলকাতায় একাধিক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কলকাতা পুরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation)। জল সরবরাহ হোক কিংবা নিকাশি ব্যবস্থা সবটাই নির্ভর করে পুরসভার ওপর। কিন্তু বর্তমানে সেই পুরনিগমে কর্মী সংখ্যা কমতে কমতে একেবারে তলানিতে ঠেকেছে। আর তার প্রভাব পড়ছে শহরের বিভিন্ন পরিষেবায়। এই মুহূর্তে কলকাতা পুরনিগমের শূন্যপদের (Vacancy) সংখ্য়াটা নেহাত কম নয়। কয়েক হাজার কর্মীর অভাব রয়েছে।

তৃণমূল (TMC) সরকার প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর যত সংখ্যক কর্মী ছিল, সেখান থেকে সংখ্যা ক্রমশ কমতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, টাকার অভাব থাকায় কর্মী নিয়োগ হচ্ছে না। প্রায় ৫০ হাজার চুক্তিভিত্তিক কর্মী বর্তমানে কাজ করেন পুরনিগমে। তাঁরাই কাজকর্ম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বলে পুরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক কী ভাবে কমেছে কর্মী সংখ্যা :

২০১০-১১ সালে কাজ করতেন ৩৪ হাজার ০৬৯ জন কর্মী

২০১১- ১২ সালে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৩২ হাজার ০৬৯

২০১২-১৩ সালে সংখ্যাটা ছিল ৩১ হাজার

২০১৩-১৪ সালে কর্মী সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ১৪০

২০১৪- ১৫ সালে কর্মী সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৬০৬

২০১৫-১৬ সালে কর্মী সংখ্যা ছিল ২৭ হাজার ০২২

২০১৬-১৭ সালে কর্মী সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার ২৬৬

২০১৭-১৮ সালে কর্মী সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ২০০

২০১৮-১৯ সালে কর্মী সংখ্যা ছিল ২১ হাজার ৯৮০

২০১৯-২০ সালে কর্মী সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৪৬৫

২০২০-২১ এর হসেব বলছে কর্মী সংখ্যা ১৯ হাজার ০৯৭

২০২১-এর অক্টোবর পর্যন্ত কর্মী সংখ্যা ১৮ হাজার ৩১৮

টাকা নেই। তাই নাকি নিয়োগ হচ্ছে না। পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ বলেন, যদি কোনও কর্মী অবসর নেওয়াগ আগেই তাঁর জায়গায় লোক নিয়োগ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়, তাহলেই কর্মী সংখ্যা স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব। জল সরবরাহ, জল নিকাশি সহ একাধিক পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পুরনিগমের বিভিন্ন বিভাগে জমা হচ্ছে ফাইলের পর ফাইল।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক, বর্তমানে কোন গ্রেডে কত কর্মী কাজ করছে:

পুরসভার এ গ্রেডে কাজ করেন- ২ হাজার ১৬৮ জন, বি গ্রেডে কাজ করেন- ২ হাজার ৭৮৬ জন, সি গ্রেডে কাড করছে ৩ হাজার ৯০৬, ডি গ্রেডে কাজ করেন ৯ হাজার ৪৫৮ জন।

হিসেব বলছে, ২৮ হাজারের বেশি শূন্যপদ রয়েছে পুরসভায়। বিশেষত ডেঙ্গি দমনের জন্য যা কাজ করা দরকার, সেই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মীও নেই পুরসভায়। স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হচ্ছে। কবে কর্মী সংখ্যা স্বাভাবিক তার কোনও সদুত্তর নেই পুরনিগমের কাছে।

আরও পড়ুন: রাজ্যে আরও কিছুটা কমল দৈনিক সংক্রমণ, তবে আজও কম কোভিড পরীক্ষার হার