ডায়মন্ড হারবার: এলাকায় গুলি, বোমাবাজি। বোমার আঘাতে জখম হয়েছে এক মাসের এক শিশু-সহ ৫ জন। তালিকায় আছেন এক বিজেপি সমর্থকও। ভোট আসছে। আর ভোট মানেই রাজনীতির পারদ ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু তা বলে রাজনীতির হিংসায় কি শিশুদেরও মাফ নেই? দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের এই ঘটনা উস্কে দিচ্ছে সেই প্রশ্ন। বুধবার এলাকায় বোমাবাজি চলার সময় একটি বাড়ির ছাদে এসে বোমা পড়ে। অ্যাসবেস্টসের ছাদ ছিল। বোমা পড়তেই ছাদ ফুটো হয়ে ভেঙে পড়ে। এদিকে সেই ছাদের নিচেই ঘরে তখন শোওয়ানো ছিল এক মাসের ওই শিশু। আহত হয় সে। স্থানীয় মন্দিরবাজার ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ বিজেপি সমর্থকও আশঙ্কাজনক অবস্থায় ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর বুকে বাঁ দিকে গুলি লেগেছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। এই ঘটনায় প্রথম থেকেই অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে।
তৃণমূলের বুথ সভাপতি ইউনুস মোল্লার ছেলে মাসুম মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া আরও তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনার পর থেকেই পলাতক ইউনুস। তৃণমূলের দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি চক্রান্ত করছে।
তৃণমূল নেতা মৃত্যুঞ্জয় পাইক বলেন, “ওখানে বোমাবাজি এর আগেও হয়েছে। ওটা কোনও রাজনৈতিক কারণে নয়। পুলিশ কয়েকজনকে ধরেওছে। কেন গুলি-বোমা হল, তা দেখছে পুলিশ। মন্দিরবাজার এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি।”
তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির পাল্টা দাবি, এলাকার দখল নিতে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে খেলারামপুর গ্রাম থেকে নির্বাচিত হন বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। স্থানীয় কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। অভিযোগ, এই পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই উত্তপ্ত এলাকা।
মন্দির বাজার থানার আইসি গৌতম সাহা বলেন, “এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। আমরা অভিযান চালাচ্ছি। আমরা একজনকে গ্রেফতার করেছি। যিনি গুলিবিদ্ধ হন তিনি স্থিতিশীল আছেন। আশা করব তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন। আজ সারাদিন রেইড চলবে। এলাকা এখন শান্তিপূর্ণ আছে। ডিএসপি স্যর আছেন, আমি নিজে থাকব।”