উস্তি: নৃশংসভাবে খুন! খুন হয়ে গেলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মথুরাপুর লোকসভার বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ার কনভেনার। শুক্রবার গভীর রাতে উস্তি থানার দ্বীপের মোড়ের কাছে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের ভিতর থেকে পৃথ্বীরাজ নস্করের (৩৩) ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আটপাড়া এলাকায় থাকতেন পৃথ্বীরাজ। গত ৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। দীর্ঘ সময় খোঁজ না পেয়ে গত ৭ তারিখ সন্ধ্যায় উস্তি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। তারপরই মাঠে নামে পুলিশ।
যদিও শুরুতেই খোঁজ পাওয়া যায়নি। খোঁজ না মিললেও পৃথ্বীরাজের ফোন চালু রাখা ছিল বলে পরিবারের দাবি। তাতেই ঘনায় রহস্য। এদিন রাতে সন্দেহের বশে পরিবারের লোকজনেরা বন্ধ পার্টি অফিসের জানালা দিয়ে কাপড় জড়ানো অবস্থায় কিছু পড়ে দেখতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ এসে রাত ১টা নাগাদ তালা বন্ধ পার্টি অফিসের ভেতর থেকে বিজেপি নেতার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। দেহে কাপড় জড়ানো ছিল। ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
যে জায়গায় দেহ উদ্ধার হয়েছে সেখান থেকে পৃথ্বীরাজের বাড়ির দূরত্ব মেরেকেটে ১ কিলোমিটার। বাড়ির এত কাছে এই কাণ্ড ঘটে গেল, অথচ কেউ কীভাবে কিছু টের পেল না তা ভাবাচ্ছে পুলিশকে। তাহলে কী অন্যত্র মেরে ওখানে দেহ ফেলে রাখা হয়েছে? সেই প্রশ্নও উঠছে। গত লোকসভা নির্বাচনে মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির পরাজিত প্রার্থী অশোক পুরকাইতের ছায়া সঙ্গী ছিলেন পৃথ্বীরাজ। তখন থেকেই শাসক তৃণমূলের টার্গেট হয়ে গিয়েছিলেন বলে পরিবারের দাবি। পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পনা করেই পৃথ্বীরাজকে অপহরণ করা হয়ছিল। করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই। ওরাই খুন করেছে। তারপর দেহ নিয়ে এসে বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ফেলে রেখে গিয়েছে।
একই অভিযোগ মথুরাপুরের বিজেপি নেতৃত্বেরও। তাঁদের অভিযোগ, কম বয়সেই লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সংগঠকদের কাছে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিল পৃথ্বীরাজ। এমনকী বিজেপির রাজ্য নেতাদের ঘনিষ্ঠও হয়ে উঠছিলেন। তাই পৃথ্বীরাজকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে অন্য জায়গায় খুন করা হয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এদিকে বাড়িতে দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় পৃথ্বীরাজ। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে কার্যত বাকরুদ্ধ মা-বাবা।