দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অন্ধকারে পাড়ার গলিতে জামাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের তাম্বুলদহ গ্রামে। ওই ব্যক্তির শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষত তৈরি হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যক্তি ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জানা গিয়েছে, প্রায় ২০ বছর আগে জীবনতলা থানার তাম্বুলদহ গ্রামের রোহিত লস্কর বিয়ে করেন তালদিয়ার সিং এলাকার বাসিন্দা মাজেদা বিবি নামে এক মহিলাকে। বিয়ের পর থেকে রোহিত শ্বশুর বাড়িতেই থাকছিলেন। অভিযোগ, রবিবার রাতে আচমকা রোহিতকে বেধড়ক মারধর করেন শ্বশুর বাড়ির লোকজন। মারধর করার পাশাপাশি ধারালো দা দিয়ে কোপান তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি। এমনকি এই ঘটনায় স্ত্রীয়েরও মদত ছিল বলে অভিযোগ।
সেই সময় ধস্তাধস্তি হওয়ায় আহত হয়েছেন মাজেদা বিবি ও তাঁর বা-মা। রাতেই খবর পেয়ে ক্যানিং থানার পুলিশ এলাকায় গিয়ে ওই চারজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চার জনকে আটক করেছে। ঘটনা সম্পর্কে জিঞ্জাসাবাদ শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।
কিন্তু কী কারণে ঘটনা?
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, জমি জমা সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই পারিবারিক বিবাদ চলছিল। মাঝেমধ্যেওই এই নিয়ে দুপক্ষের ঝামেলা হয় বলে স্থানীয়রা জানাচ্ছেন। রবিবার সকাল থেকেও অশান্তি শুরু হয়। মাঝে সব থেকে গিয়েছিল। গ্রামবাসীরা ভেবেছিলেন, সব মিটে গিয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ফের নতুন করে অশান্তি শুরু হয়। তখনই জল গড়ায় অনেকদূর। এক গ্রামবাসী বলেন. “ওই বাড়িতে অশান্তি লেগেই থাকে। ছেলেটা শ্বশুরবাড়িতেই থাকে। নিজের বাড়িতে যায় না। শ্বশুরবাড়ির জমিই দখল করতে চেয়েছিল বোধ হয়। এই নিয়ে ঝামেলা।”