Canning: ক্যানিংয়ে থানায় ঢুকে পুলিশকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, সরব শুভেন্দু
Canning: জানা যাচ্ছে, পুলিশের দুই আধিকারিক সৃজন সারথী নামের এক সাব ইন্সপেক্টর ও দেবজ্যোতি সরকার নামে এএসআই পদমর্যাদার দুই আধিকারিককে বারইপুর জেলা পুলিশ হেডকোয়ার্টারে বদলি করা হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: থানায় ঢুকে পুলিশকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। লক আপ থেকে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল ক্যানিংয়ে। অভিযোগের তির ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি অরিত্র বসুর দিকে। ঘটনায় তীব্র নিন্দা করে ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ডিজির কাছে থানার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিং থানা এলাকার রায়বাঘিনীর মোড়ে টহলরত পুলিশ মঙ্গলবার এক ব্যক্তিকে চাঁদা তোলার নামে জুলুমবাজির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। তাঁকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অভিযোগ, এরপরই জয়ন্ত ঘোড়ই নামে এক তৃণমূল নেতা এলাকার লোকজনকে নিয়ে ক্যানিং থানায় ঢুকে পড়েন। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। আটক ব্যক্তিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। অভিযোগ, সেই সময় থানায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মারধরও করেন তিনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খান ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষ। পরে আরও লোকজন থানায় ঢুকে ঝামেলা করতে থাকেন।
খবর পেয়ে থানায় যান ক্যানিংয়ের এসডিপিও রামকুমার মণ্ডল। যদিও থানায় ঢুকে হামলার অভিযোগে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। জানা যাচ্ছে, পুলিশের দুই আধিকারিক সৃজন সারথী নামের এক সাব ইন্সপেক্টর ও দেবজ্যোতি সরকার নামে এএসআই পদমর্যাদার দুই আধিকারিককে বারইপুর জেলা পুলিশ হেডকোয়ার্টারে বদলি করা হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, গোটা ঘটনাটি ঘটেছে থানায়। তাই থানার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন তিনি।
Allegations are surfacing that TMC Canning – I Block Youth President Aritra Bose beat up the Police inside the Canning Police Station today and forcefully got Trinamool Youth Leader Jayanta Ghorai released from the lockup. Both of them are close associates of Canning Paschim TMC…
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 29, 2024
যদিও শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ রাম দাস। তিনি বলেন, “আমি সারাদিন কলকাতায় ছিলাম। অরিত্র ঘোষের নাম বলছে, তাঁর জ্বর, বাড়িতে ঘুমোচ্ছে। আসলে যে ঘটনা বলছেন, আমি জানিই না, এরকম কোনও ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ শিরোনামে থাকবেন বলেই শুভেন্দু অধিকারী মিথ্যা বলছেন।”