বাসন্তী: ধান চাষের শ্রমিক হিসেবে কাজ করে পাওয়া যায় একটু বেশি টাকা। তাই সংসারের হাল টানতে তিন ভাই চলে যাচ্ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশে। উঠেছিলেন সেই অভিশপ্ত ট্রেনে। সঙ্গে ছিলেন আরও দুই বন্ধু। একটা ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা কেড়ে নিল একই পরিবারের তিনটি ছেলেকেই। তিন ছেলেকে হারিয়ে শোকে ভেঙে পড়েছেন মা। এখন গায়েন পরিবারের শুধুই আর্ত চিৎকার।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর উত্তর মোকামবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ছড়ানেখালি গ্রামের তিন ভাই। মৃতদের নাম হারান গায়েন (৫১), নিশিকান্ত গায়েন(৪০) ও দিবাকর গায়েন (৩৩)। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চড়ে অন্ধ্রপ্রদেশ যাওয়ার পথে ট্রেনটি দুর্ঘটনা কবলে পড়ে। মৃত্যু হয় তিন ভাইয়ের। তাঁদের সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে ওই দলের সঙ্গে যাওয়া সঞ্জয় হালদার(২৪) ও বিকাশ হালদার(২৬) নামের আরও দু’জনের।
টানা একটা দিনের প্রতীক্ষার পর রবিবার মৃতদের পরিজনরা তাঁদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। মৃতদেহ দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আত্মীয়রা। তিন ছেলের মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন সুভদ্রা গায়েন। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, “আমার আর কেউ রইল না। তিন সন্তানই চলে গেল। তিনটে বউয়ের ছোট ছোট বাচ্চা। এবার কার কাছে হাত পাতব। কাকে বলব, দুটো পয়সা দে। আমার সব শেষ। আমার আর কিছু নেই। ”
জানা গিয়েছে, এর আগেও একাধিকবার কাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন তিন ভাই। কিন্তু এবার কাজে যাওয়ার পথেই দুর্ঘটনা। এই ট্রেন দুর্ঘটনায় বাসন্তী ও গোসাবা এলাকার আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।