কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবার: সংক্রমণের হার কমিয়ে আনার প্রশ্নে এগিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। টানা চারদিন সংক্রমণের হার দুই শতাংশের নীচে। জেলাওয়াড়ি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার পজিটিভিটি রেট ১.৮৫ শতাংশ। মঙ্গলবার এই পরিসংখ্যান ছিল ১.৯১ শতাংশ। সোমবার পজিটিভিটি রেট ছিল ১.৪৬ শতাংশ। রবিবারও ছিল দুই শতাংশের নীচে ছিল পজিটিভিটি রেট, ১.৯০ শতাংশ। ২২ জানুয়ারির এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ, ১৫ জানুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার পজিটিভিটি রেট ছিল ১৯.২৮ শতাংশ। মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে ১৯ শতাংশ থেকে কমে দুই শতাংশেরও নীচে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সংক্রমণ।
উল্লেখ্য, ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’কে ঘিরে রাজ্যে বিগত কিছুদিন ধরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডক্টরস অন হুইল থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছিলেন। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, মাস্ক না পরলেই পুলিশি ব্যবস্থা, ব়্যাপিড টেস্ট। বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীতে গণ হারে করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সেখানে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা। শেষ পর্যন্ত শাসক দলের তরফে জানানো হয়েছিল, ৫৩ হাজার করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল সেদিন। আর এই বিশাল অঙ্কের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে গিয়ে বাড়াতে হয়েছিল ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের হার। অনেকেই অনুমান করছেন, এই ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের পরিমাণ বাড়ানোর জন্যই পজিটিভিটি রেটে বিস্তর ফারাক হয়ে থাকতে পারে।
ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২৫ জানুয়ারির ডায়মন্ড হারবারের যে কোভিড গ্রাফ তাঁর ফেসবুক হ্যান্ডেল থেকে শেয়ার করেছিলেন, তাতে দেখা যাচ্ছে ১৪ হাজার ৯৩৫ জনের করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। তাতে সংক্রমণ ধরা পড়েছে মাত্র ৭৪ জনের। পজিটিভিটি হার ০.৫০ শতাংশ। তবে বিগত কয়েকদিন ধরেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় যেভাবে পজিটিভিটি রেট এক ধাক্কায় অনেকটা নেমে এসেছে, তা নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন : Mamata Banerjee: বাজেট অধিবেশনে কী হবে সংসদীয় রাজনীতির রুট ম্যাপ? সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মমতা
আরও পড়ুন : Jayprakash Majumdar: ‘মেসির’ পর এবার মন্তব্য ‘মমতা অপ্রতিরোধ্য’, জয়প্রকাশের জয়গান অব্যাহত