Jayprakash Majumdar: ‘মেসির’ পর এবার মন্তব্য ‘মমতা অপ্রতিরোধ্য’, জয়প্রকাশের জয়গান অব্যাহত

Jayprakash Majumdar: প্রথমে শোকজ নোটিস ও পরে দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে। জয়প্রকাশে দাবি, বারবার দলকে নানা পরামর্শ দিয়েও কোনও লাভ হয়নি।

Jayprakash Majumdar: 'মেসির' পর এবার মন্তব্য 'মমতা অপ্রতিরোধ্য', জয়প্রকাশের জয়গান অব্যাহত
কার্যত মমতার প্রশংসা শোনা গিয়েছে জয়প্রকাশের গলায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 26, 2022 | 7:35 PM

কলকাতা : গত কয়েক দিন ধরেই প্রকট হয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরের বিদ্রোহ। কখনও বিচ্ছিন্ন বৈঠক, সাংবাদিক বৈঠক, বিতর্কিত বনভোজন কিংবা পোস্টার। এ সব নিয়েই সরগরম গেরুয়া শিবির। আর অতি সম্প্রতি দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বঙ্গ বিজেপির দুই নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে। কারণ বিক্ষুব্ধদের দলে ছিলেন তাঁরাও। এরপরই মমতাকে মেসি বলে সম্বোধন করায় বঙ্গ বিজেপির এক সময়ের প্রথম সারির নেতা জয়প্রকাশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। তবে তাঁর দাবি, প্রতিপক্ষ হিসেবে মমতার ক্ষমতা নিয়ে প্রথম থেকেই ওয়াকিবহাল ছিলেন তিনি। বিজেপির অন্দরেও বলেছিলেন সে কথা।

মেসি একটা ‘রূপক’ মাত্র!

বরখাস্ত হওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেসির সঙ্গে তুলনা করেছেন জয়প্রকাশ। তিনি রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও দলের সাধারণ সম্পাদক (‌সংগঠন)‌ অমিতাভ চক্রবর্তীর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন,  ‘এই দুই জন কার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন? যিনি বর্তমানে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম সেরা স্ট্র্যাটেজিস্ট। এ তো মেসির টিমের বিরুদ্ধে তিন দিনের অনুশীলনে খেলতে নামা প্লেয়ার।’

একদিকে অভিমানের ক্ষত, তার মধ্যে মমতার স্তুতি শোনার পর অনেকেই অঙ্ক মিলিয়ে দিচ্ছেন। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি তৃণমূলে যাচ্ছেন জয়প্রকাশ? TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে জয়প্রকাশ মজুমদার দাবি করেন, প্রতিপক্ষ হিসেবে মমতার ক্ষমতাকে কখনই ছোট করে দেখেননি তিনি। তিনি বলেন, ‘যে কোনও দলের নেতাকে আমি সম্মান দিয়ে কথা বলি। প্রতিপক্ষে থাকা মানে তাঁকে অপমান করা নয়। তাই আমি বরাবর মাননীয়া বলে কথা বলি। আর মেসি বলে একটা ‘রূপক’ দিয়েছি মাত্র, তুলনা করেছি।’ নব্য লোকজনের অভিজ্ঞতার কথা বোঝাতেই এই তুলনা বলে জানান তিনি।

‘মমতা অপ্রতিরোধ্য, তাঁর সাফল্য প্রশ্নাতীত’

তবে বিজেপিতে থাকলে কি এ কথা বলতে পারতেন? জয়প্রকাশের দাবি, তিনি দলকে পরামর্শ দিতে গিয়ে আগেও একাধিকবার এ কথা বলেছেন। তিনি জানান, বিশ্লেষক হিসেবে কেন্দ্র বা রাজ্য নেতৃত্বকে যখন তিনি পরামর্শ দিতেন তখন সেখানে মমতাকে শক্তিশালী ও অপ্রতিরোধ্য প্রতিপক্ষ বলে উল্লেখ করতেন। তাঁর দাবি, মমতা যে কতটা শক্তিশালী, তা বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। বলেছিলেন, মমতা অপ্রতিরোধ্য, তাঁর সাফল্য প্রশ্নাতীত। তাঁর মতে, খেলতে নামতে গেলে সবসময় বিপক্ষের ক্ষমতা যাচাই করে মাঠে নামতে হয়।

তবে কি তৃণমূলে জয়প্রকাশ?

সেই জল্পনা আপাতত নস্যাৎ করে দিচ্ছেন জয়প্রকাশ। তিনি জানাচ্ছেন, এ সব নিছক রাজনৈতিক জল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়। তবে রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও স্পষ্ট বার্তা দেননি তিনি।

তবে, দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদারদের কাছে জয়প্রকাশের প্রশ্ন, কোনও কথা না শুনে তাড়িয়ে দেওয়া হল কোন অধিকারে? কথা শোনা হল না, তদন্ত হল না কেন?

আরও পড়ুন : Sougata Roy: ‘রাম-বাম ঘোঁট’ নয়! পদ্ম-তালিকায় বুদ্ধদেবের নামে অন্য কারণ দেখছেন সৌগত