Sonarpur: দেখাশোনা করে ১৮ বছরের মেয়েটাকে দিয়েছিলেন বিয়ে, এখন পরিণতি দেখে চোখে জল বাবার
Bhangar:দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর থানা এলাকার বাসিন্দা সীতা মণ্ডল (১৮)। দেখাশোনা করে বিয়ে হয় সোনারপুর থানা এলাকার কালিকাপুর মুড়োগাছির বাসিন্দা অরুপ নস্করের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, মাত্র এক মাস আগে ১৭ই নভেম্বর বিয়ে হয় তাঁদের।
সোনারপুর: মাত্র একমাস আগে বিয়ে দিয়েছিলেন মেয়ের। যতটুকু সামর্থ্য ছিল সবটুকু খরচ করেছিলেন বিয়ের জন্য। ভেবেছিলেন হয়ত বাকি জীবনটা মেয়েটার সুখের হবে। কিন্তু না। একমাসের মধ্যেই মেয়ের নিথর দেহ দেখলেন তাঁর বাবা-মা। অভিযোগ, যৌতুক হিসেবে পালঙ্ক দিতে না পারায় স্ত্রীকে খুন করেছেন স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকতজন। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের বাড়ির মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানো হতো। এই ঘটনায় স্বামী অরুপ নস্কর, শ্বশুর প্রণব নস্কর, ভাসুর স্বরুপ নস্কর ও বৌদি পুজা নস্করের বিরুদ্ধে সোনারপুর থানার খুনের অভিযোগ দায়ের। অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর থানা এলাকার বাসিন্দা সীতা মণ্ডল (১৮)। দেখাশোনা করে বিয়ে হয় সোনারপুর থানা এলাকার কালিকাপুর মুড়োগাছির বাসিন্দা অরুপ নস্করের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, মাত্র এক মাস আগে ১৭ই নভেম্বর বিয়ে হয় তাঁদের। স্বামী অরুপ নস্কর কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় একটি চামড়ায় কারখানায় কাজ করেন। মৃতার পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে তাঁর মেয়ের উপর অত্যাচার চালানো হত। ২৪শে ডিসেম্বর রাতে সীতার সঙ্গে শেষ বারের মত পরিবারের কথা হয়। এরপর ২৫শে ডিসেম্বর সকালে মৃতার বাবা ও মা ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। সীতার পরিবারের বক্তব্য, দুপুরবেলা মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয় তিনি মারা গিয়েছেন।
সীতার বাবা দিব্য কুমার মণ্ডল বলেন, “ছেলে আমায় সময় দিয়েছিল। বলেছিল এই তারিখের মধ্যে খাট-বিছানা দিতে হবে। সেই কারণে মেয়েটাকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছে। মা-বৌদি-স্বামা মিলেই মেরে ফেলেছে ওকে।”