নরেন্দ্রপুর: বাড়িতে ছিলেন না বাবা-মা। সেই সময় মেয়েটিকে পড়াতে আসেন গৃহশিক্ষক। আর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নেন তিনি। অভিযোগ ওঠে নবম শ্রেণির ওই পড়ুয়াকে যৌন নির্যাতন করার। ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার ঘটনা। মঙ্গলবার সন্ধ্যেয় ঘটনাটি ঘটেছে। গতকাল নির্যাতিতার বাড়িতে কেউ ছিল না। অভিযোগ, সেই সময় ছাত্রীকে পড়ানোর নাম করে তার সঙ্গে অভব্য আচরণ করে অভিযুক্ত। এমনকী নির্যাতিতার যৌনাঙ্গে আঙুল ঢোকানোর অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
এরপর বাড়িতে মা-বাবা ফিরলে গোটা ঘটনা জানায় মেয়েটি। এ দিকে, যৌন নির্যাতনের কারণে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলেও দাবি করে নির্যাতিতার পরিবার। এরপরই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। অভিযোগ পেয়েই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে। ধৃতকে আজ বারুইপুর আদালতে পেশ করা হবে। যদিও, অভিযুক্ত ব্যক্তি জানান তিনি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন।
প্রসঙ্গত, একই ঘটনার শিকার হয়েছিলেন হাড়োয়ার এক যুবতী। তাঁকেও ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে ধর্ষণ করে বছর পঁয়ত্রিশের যুবক। ওই যুবতী প্রতিবন্ধী। জানা গিয়েছে, গত রবিবার সন্ধ্যেবেলা যুবতীর বাড়িতে কেউ ছিলেন না। নির্যাতিতার বাবা-মা বাড়ির বাইরে ছিলেন। সেই সুযোগকেই কাজে লাগায় অভিযুক্ত। অভিযোগ, ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় হাড়োয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়।