Namkhana: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

Shuvendu Halder | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 24, 2024 | 10:54 AM

South 24 Parganas: আবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ২০২০-‌২১ সালে সুন্দরবনে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস।

Namkhana: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল
পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  নিয়ম ভেঙে ইয়াস ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় মোকাবিলার নামে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ ৩৫ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত নামখানা পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় বিডিওর কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন বিডিও।

আবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ২০২০-‌২১ সালে সুন্দরবনে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, সেই সময় নিয়ম বহির্ভূতভাবে কেন্দ্রের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা ইয়াস ঝড়ে বিপর্যয় মোকাবিলায় ব্যবহার করা হয়। অভিযোগ, পরবর্তী সময় নকল বিল ও ভাউচার তৈরি করে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন তৎকালীন পঞ্চায়েত প্রধান।

সম্প্রতি নামখানার শিবরামপুর গ্রামের বাসিন্দা স্নেহাশিস গিরি কেন্দ্রের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া তথ্যে বেনিয়ম দেখে স্থানীয় বিডিওকে তদন্তের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি বেনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্তের জন্য আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছেও। স্নেহাশিস গিরির অভিযোগ, ভারতের সংবিধানের ২৮০ অনুচ্ছেদের অধীনে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনেরক টাকা কী কী খাতে ব্যবহার করা যায়, তার সুপষ্ট উল্লেখ আছে। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় ব্যবহার করা হয়েছে।

লোকসভা ভোটের মধ্যে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ ঘিরে সুর চড়িয়েছেন মথুরাপুরের বিজেপি প্রার্থী অশোক পুরকাইত। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় টাকা খরচের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন নামখানা পঞ্চায়েতের তৎকালীন প্রধান অজিত গিরি। তবে তাঁর বক্তব্য, “সরকারি নির্দেশে আমরা এই টাকা খরচ করেছি। টাকা খরচে কোন দুর্নীতি হয়নি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন নামখানার বিডিও অমিত সাহু।” তিনি জানান, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা খরচে নির্দিষ্ট কিছু গাইডলাইন আছে। এক্ষেত্রে কোন বেনিয়ম হয়েছে কি না তা দেখতে হবে।

Next Article