গঙ্গাসাগর: মকর সংক্রান্তির পূণ্য তিথিতে আজ থেকে শুরু হল সাগরে স্নান। যার জেরে গঙ্গাসাগরে (Gangasagar Mela) পূণ্যার্থীদের ভিড়। তবে করোনাকালে জারি রয়েছে মাস্ক, দূরত্ববিধি সহ একাধিক নির্দেশিকা। কিন্তু পূণ্য অর্জনের হুজুগে কতটা মানা হচ্ছে করোনা বিধি?
কী ছবি আজকের?
গঙ্গাসাগরের মাহাত্মই হল মকর সংক্রান্তির পূণ্য তিথি। শুক্রবার ভোর ছয়টা থেকে শুরু হয়েছে। চলবে আগামীকাল অর্থাৎ শনিবার ভোর ছয়টা পর্যন্ত। এই তিথিতে সাগরে স্নানের জন্য আগমণ হয় বহু তীর্থযাত্রীর। ভক্তি ও আবেগের জেরেই লাখো মানুষের সমাগম হয় এখানে। গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন রাজ্যের পূণ্যার্থীরা বাংলায় আসতে শুরু করেছেন। মকর সংক্রন্তির এই বিশেষ দিনে সাগরে স্নান করে ভক্তরা কপিলমুণির মন্দিরে পুজো দেন।
এবার এই উদ্দেশে আজকে প্রায় হাজার-হাজার পূণ্যার্থী মেলায় আসেন। এদিকে, প্রকৃতির অবস্থাও ভালো না থাকায় চলেছে দফায়-দফায় বৃষ্টি। কিন্তু সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করেই স্নান সেরেছেন তীর্থযাত্রীরা। কাতারে-কাতারে মানুষের ভিড় হয় সমুদ্র সৈকতে। নেই কোনও দূরত্ববিধি। মাস্কের কথা না হয় না বলাই থাক! কিন্তু থেমে নেই প্রশাসন। চলছে মাইকিং ও লাগাতার প্রচার। শুক্রবার সকালবেলা ঘটনাস্থান পরিদর্শনে করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উপকূলরক্ষী বাহিনীর আধিকারিক অভিজিৎ দাসগুপ্ত।
এছাড়াও আজ রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা তিনিও সাগরমেলায় এসেছেন। ভিড় প্রসঙ্গে শশী পাঁজা বলেন, “ভিড় খুবই কম রয়েছে। স্বাভাবিক বছরগুলিতে আরও বেশি ভিড় হয়। আর এই বছর যাঁরা আসার চেষ্টা করেছিলেন তাঁদের শারীরিক উষ্ণতা মাপা হয়েছে। যাঁদের উষ্ণতা বেশি তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছে। বাকি যাঁরা উপস্থিত হয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই মেডিক্যাল স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে এখানে এসেছেন। সাগরে যাঁরা থাকেন তাঁরাও এখানে এসেছেন। এই এলাকার বাসিন্দাদের অধিকাংশরই প্রথম ডোজ় হয়ে গিয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ়ও অনেকেরই হয়ে গিয়েছে। তাই আমরা অনেকটা ফিল্টার জ়োনে রয়েছি। তবুও প্রশাসনের তরফে সবসময় প্রচার চালানো হচ্ছে। ”
অন্যদিকে, শশী পাঁজার এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “ভিড় কম বলছেন শশীপাঁজা। এই ভিড় কথাটা আপেক্ষিক। ভিড় মানে ঠিক কত? পাঁচ লক্ষের বদলে দুই লক্ষ লোক? আর ওই দিকে মাননীয়া ঘোষণা করেছেন যে কোনও অনুষ্ঠানে পঞ্চাশ জনের বেশি যেতে পারবেন না? কী বলছেন শশী পাঁজা? একদিকে বলা হচ্ছে কেউ মারা গেলে শশ্মানযাত্রী পাঁচ থেকে দশজন যেতে পারবে আর এখানে এই ভিড় দেখে শশীপাঁজা বলছেন ভিড় কম হয়েছে। আর ফিল্টার মানে কীসের ফিল্টার? করোনা এইসব ফিল্টার মানে? পরবর্তী ক্ষেত্রে সংক্রমণ হলে শশীপাঁজা ঘোষণা করবেন যে আমি দায়ী আমরা দায়ী?”
আরও পড়ুন: Weather Update: উত্তরের একাধিক জেলায় শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাস, আকাশ পরিষ্কার হলেই কমবে তাপমাত্রার পারদ