মগরাহাট: দু’দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে বিজেপি কর্মী মানস সাহার। শুক্রবার রাতে সেই কর্মীর বাড়িতে পৌঁছে গেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। ভোট-পরবর্তী হিংসাতেই মগরাহাট পশ্চিমের বিজেপি প্রার্থী মানস সাহার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপি। তাঁর বাড়িতে গিয়ে সিবিআই তদন্তের আশ্বাস দিয়ে এলেন স্মৃতি ইরানি। আধ ঘন্টার বেশি সময় ধরে তিনি কথা বলেন মানস সাহার স্ত্রী প্রীতি সাহা ও মেয়ে শ্বাতী সাহা সহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।
পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন স্মৃতি। সেই সঙ্গে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন মন্ত্রী। গতকালই বিজেপির দফতরে মানস সাহার মেয়েকে পাশে বসিয়েই সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র। তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে সম্বিত পাত্র বলেন, ‘এত কর্মীর মৃত্যু। মায়ের কোল ফাঁকা হয়ে যাওয়া কোনও সাধারণ বিষয় নয়। এটা গণতন্ত্রের হত্যা।’
মানস সাহার দেহ নিয়ে ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। সেই ঘটনার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, ‘তোমার বাড়ির সামনে যদি একটা কুকুরের ডেডবডি পাঠিয়ে দেই। ভাল হবে? মেশিনারি আমার কাছে নেই? এক সেকেন্ড লাগবে। পচা কুকুর তোমার বাড়ির সামনে ফেলে আসব। গন্ধে দশদিন খেতে পাবে না তুমি। বদমাইশি করতে চাইলে কী না করা যায়! এত পাশবিক! এত দানবিক!’ আর এই মন্তব্যে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিজেপি নেতৃত্ব। গতকালই এই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্মৃতি ইরানি।
কলকাতায় এসে এ দিন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি বলেন, ‘যে মুখ্যমন্ত্রী এই ধরনের কথা বলেন, তাঁর ভোটে জেতা কি উচিত?’। তাঁর কটাক্ষ, ‘কাকে পচা কুকুর বলছেন? বাঙালি লোক মারা যায়, তাঁকে মমতা দিদি বলছে পচা কুকুর। এই রকম মানুষের জেতা উচিত?’
গত ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার দিন দুপুরে ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের গননা কেন্দ্রের সামনে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বিজেপি প্রার্থী মানস সাহাকে বেধড়ক মারধর করে একদল দুস্কৃতী। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরাই তাঁকে পিটিয়ে মারার চেষ্টা করেছিল। মারধরের জেরে মাথায় গুরুতর আঘাত পান তিনি। তারপর থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন মানস। টানা কয়েক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর সপ্তাহ খানেক আগে বাড়িতেও ফেরেন তিনি। কিন্তু সোমবার আচমকা ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ঠাকুরপুকুরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। বুধবার ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। এই মৃত্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও একবার সরব হয়েছে গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুন: Mithun Chakrabarty: এজলাসে ‘মিঠুনদা’র সেই ডায়লগ, ভরা কোর্টরুমে উঠল হাসির রোল