Gangasagar: ‘আমি রোজ শাঁখ বাজাই, শঙ্খ বাজাতে আমার খুব ভাল লাগে…’ ভারত সেবাশ্রমে বললেন মমতা
Mamata Banerjee: আমি রোজ সকালে উঠে ঠাকুরকে জল দিই, শাঁখ বাজাই, এটা আমার অভ্যাস, বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এই যে শাঁখ বাজাচ্ছেন, শঙ্খধ্বনি হচ্ছে এর একটা ব্যাপার আছে। আমি নিজেও রোজ শাঁখ বাজাই। শাঁখ বাজাতে আমার ভাল লাগে। আমি দিনে অন্তত দু’বার তিনবার শাঁখ বাজাই। আমার ঠাকুরের একটা স্থান আছে, আমার ছোট্ট একটা জায়গা আছে। ঠাকুরের মন্দিরও বলেন কেউ, কেউ সিংহাসনও বলেন। আমি রোজ সকালে উঠে ঠাকুরকে জল দিই, শাঁখ বাজাই, এটা আমার অভ্যাস। স্নান সেরে উঠেও করি। আর একবার সন্ধ্যায় করি, যখনই বাড়ি ফিরি। স্নান সেরে আরেকবার পুজো করি। শঙ্খধ্বনিটা আমার মনে হয় খুব পবিত্র ধ্বনি। শঙ্খধ্বনি, মায়ের উলুধ্বনি, আজানের ধ্বনি এর কোনও তুলনা হয় না। এক একটা সুরের সঙ্গে, এক একটা টানের সঙ্গে এক একটা অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সঙ্গে জীবনের সুর জড়িয়ে রয়েছে। তাই আমার খুব ভাল লেগেছে।”
তিনদিনের সফরে গঙ্গাসাগরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সফরের প্রথম দিনে কপিল মুনির আশ্রম, ভারত সেবাশ্রম সংঘে যান মুখ্যমন্ত্রী। কপিল মুনির আশ্রমে মোহন্তের সঙ্গে কুশল বিনিময়, সৌজন্য সাক্ষাতের পর সেখান থেকে চলে যান ভারত সেবাশ্রমে।
সেখানে মহারাজ এবং অন্যান্য সভ্যরা মুখ্যমন্ত্রীকে শাল, ফল, মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নেন। মহারাজ যখন মুখ্যমন্ত্রীকে শাল পরিয়ে বরণ করছিলেন তখন শঙ্খধ্বনিতে মুখর ছিল আশ্রমচত্বর। এরপর মহারাজ এক ঝুড়ি ফল এগিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রীর দিকে। কিছুটা ইতস্তত মমতা হেসে বলেন, ‘আচ্ছা এগুলো আমি কোথায় নিয়ে যাব? এত কিছু দিচ্ছেন কেন?’ এরপরই মহারাজ বিরাট একটা লাল মুখের কৌটো ভরে মুড়ি নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, ‘এই যে দিদির মুড়ি।’ তা দেখেই আপ্লুত মমতা বলেন, ‘এই মুড়িটা আমি নিয়ে যাব।’
অভ্যর্থনাপর্বের পর মমতা বলেন, “আমি প্রতিবছরই ভারত সেবাশ্রমকে কৃতজ্ঞতা জানাতে আসি। তারা যে কাজ মানুষের জন্য করে তা মনে রাখার মতো। যখন চারদিকে ঝড়ঝঞ্ঝা, দুর্যোগ, ধ্বংসের পর ধ্বংস। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে বুলবুল, ফণি, আমফান, ইয়াস, সুনামির তাণ্ডব চলেছে। ভাষণ দেয় না, ভারত সেবাশ্রম জীবন দিয়ে কাজ করে চলে। তারা গিয়ে রান্না করে লোককে খাওয়ায়। কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসা করায়, নিজের গৃহে স্থান দেয়। প্রণবানন্দজী আমাদের সকলের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়।”