দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ‘ভাইপো রানি মৌমাছি, মধু খেয়ে চলে যায়।’ বারুইপুরের (Baruipur) সভা থেকে ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তোলাবাজ বাণে বিদ্ধ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে তিনি বলেন, “আপনার ছোট বাড়ির কী হল? সবাই দেখেছে।” আমফান দুর্নীতি নিয়ে আবারও কটাক্ষের সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, “তৃণমূল আমফানের টাকা চোর, লকডাউনের চাল চোর, এখন তো টিকা ঝাড়াও শুরু করেছে।” গরু পাচার কাণ্ডে নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, ‘তৃণমূল মানে এনামুল।’
শুভেন্দুর কথায় একাধিক প্রসঙ্গ উঠে এসেছে, যা নিয়ে আগেও সুর চড়িয়েছেন তিনি। তবে এ দিন নিজের দাবির প্রেক্ষিতে বেশ কিছু যুক্তি প্রমাণ খাঁড়া করেন তিনি।
সভাতেই তিনি বলেন, “একটু আগেই ফোন পেলাম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিএ-কে ফোন করেছে ইডি। আমার নামে বড় বড় কথা বলে এসেছে। তোলাবাজ শুনলেই রেগে যাচ্ছে। ঘুষখোর শুভেন্দু তা প্রমাণ করতে পারবে?” তিনি বলেন, “কয়লার লালার টাকা কোথায় কোথায় যায়? থাইল্যান্ডে যায়। সে দিন তমলুকে বলেছিলাম তো প্রমাণ দেখাব, দেখুন…” একটি টাকা লেনদেনের নথির প্রতিলিপি দেখিয়ে তিনি বলেন, “দেখে নিয়ে কয়লা পাচারের টাকা থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্কে যায়।”
এরপরই সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “প্রেসের জন্য নিয়ে এসেছি প্রতিলিপি। দিয়ে দেব। ভাল করে স্টাডি করুন। ম্যাডাম নারুলাটা কে? গত লোকসভা ভোটে কলকাতা এয়ারপোর্টে সোনা নিয়ে ধরা পড়েছিলেন যিনি, তিনিই ম্যাডাম নারুলা।” এরপরই তাঁর কৌতুক, ‘সমঝদারকে লিয়ে ইশারা হি কাফি হ্যয়।’
প্রশ্ন তোলেন, “এই জেলা চালাচ্ছেন কে? মাননীয় জাহাঙ্গির, মাননীয় মেহবুুব…” ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান চড়িয়েই শেষ করেন এ দিনের বক্তৃতা। উল্লেখ্য, বারুইপুরের এই সভাতেই বিজেপিতে যোগ দেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার।