দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমুদ্র উপকূলবর্তী বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, মৌসুনি, নামখানা ও কাকদ্বীপ এলাকায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। উপকূল এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ছে। দুপুরের পর থেকে বৃষ্টির পরিমান বাড়বে বলে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস।
বকখালি সমুদ্রতটে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা প্রচার চালাচ্ছেন। দুপুরে সমুদ্রতটের টহল দিতে দেখা যায় নামখানা ব্লকের বিডিও শান্তনু সিংহ ঠাকুর ও উপকূল রক্ষী বাহিনীর ফ্রেজারগঞ্জ ঘাঁটির কমান্ডার এনপি সিংকে। আগামী দু’দিন সমস্ত হোটেলের বুকিং বন্ধ আছে।
এদিকে, জল কমতেই ভাঙা বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। এলাকা অত্যন্ত দুর্গম।আপাতত সেই অবস্থাতেই শুরু হয়েছে বাঁধের কাজ। জল বাড়ছে দারকেশ্বর ও শিলাবতীতে। ফুলে উঠেছে রূপনারায়ণের জল। পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।
দক্ষিণের একাধিক জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সোমবার বিকেল থেকে নীচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে তুলে আনা হবে। অন্যদিকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হলে নতুন করে প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিন সকাল থেকে পাথরপ্রতিমার অচিন্ত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীপুর গ্রামের কাছে মৃদঙ্গভাঙা নদীর প্রায় ৬০ মিটার বেহাল বাঁধ মেরামতের কাজে হাত লাগান গ্রামবাসীরা। ইয়াসের প্রভাবে বাঁধ টোপকে প্লাবিত হয়েছিল এলাকা। তারপর থেকে প্রশাসন ও সেচ দফতরকে বেহাল বাঁধ মেরামতের দাবি জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। অগ্যতা গ্রামবাসীরা বাঁধ মেরামতের কাজে হাত লাগায়।
সোমবার রাত থেকে বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। মঙ্গলবার দিনভর বৃষ্টি। বুধবার কমবে বৃষ্টি। সোমবার হালকা মাঝারি বৃষ্টি দু-এক পশলা দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়। ভারী বৃষ্টি দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে।
মঙ্গলবার দফায় দফায় বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াতে।
৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। বুধবার দু-এক পশলা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। বৃষ্টি চললেও বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও ঝাড়গ্রামে দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস।
‘গুলাব’ স্থলভাগে প্রবেশ করে শক্তি হারিয়েছে। দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশে এটি গভীর নিম্নচাপ রূপে অবস্থান করছে। আগামী ১২ ঘন্টায় তা সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হবে। একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে আজ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায়। পরে নিম্নচাপ হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করবে। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে ঝাড়খণ্ডের দিকে এগোবে।
আরও পড়ুন: Bhawanipur By Poll: ‘ভবানীপুরের চেয়ে আফগানিস্তান ভাল’, ভোট প্রচারের শেষদিনে দিলীপের সভায় ধুন্ধুমার!