গোসাবা: মাঝেমধ্যেই ‘তাঁকে’ নদীতে সাঁতার কাটতে দেখা যায়। হঠাৎই মৎস্যজীবীদের নজরে পড়ে, নদী পেরিয়ে তিনি যে ঢুকে পড়েছেন গ্রামে। সঙ্গে সঙ্গে নৌকা ঘুরিয়ে তাঁরাও রওনা দেন গ্রামের দিকেই। পাড়ে নৌকা ঠেকিয়েই দে ছুট! গ্রামবাসীদের সতর্ক করেন, গ্রামে বাঘ ঢুকেছে! মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। সুন্দরবনের (Sundorban) চরঘেরি গ্রামে এখন লুকিয়ে বাঘ আর প্রহরায় গ্রামবাসীরা। আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে সকলের।
শুক্রবার গোসাবা ব্লকের লাহিড়িপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চরঘেরি গ্রামের মৎস্যজীবীদের নজরে পড়ে একটি বাঘ নদী সাঁতরে গ্রাম লাগোয়া ম্যানগ্রোভ ঝোঁপ ঝাড়ের মধ্যে ঢুকে পড়েছেl দ্রুত ওই মৎস্যজীবীরা গ্রামে ফিরে বাঘ ঢোকার খবর জানান। বাঘ যাতে নদী বাঁধ টপকে গ্রামের বাড়ির ভিতরে ঢুকতে না পারে, তৎপর হয়ে যান তাঁরা।
আরও পড়ুন: মুখ থেকে গড়ানো রক্তে ভাসছে ভাইয়ের গোটা শরীর, দাদার নৃশংসতায় তাজ্জব স্থানীয়রা
লাঠিসোঁটা নিয়ে গ্রামের পুরুষরা টহল দিচ্ছেনl গ্রামবাসীদের বক্তব্য, বাঘটি ম্যানগ্রোভ ঝোঁপের মধ্যে থেকেই গর্জন করছে। ইতিমধ্যেই বাঘ ঢোকার খবর দেওয়া হয়েছে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের সজনেখালি রেঞ্জ অফিসে। মনে করা হচ্ছে, বাঘটি ঝিলা চার নম্বর জঙ্গল থেকে কোনওভাবে বেরিয়ে গোমর নদী সাঁতরে চলে এসেছে চরঘেরিতে। নদীতে জোয়ার থাকায় বাঘের অবস্থান খুঁজতে সমস্যা হচ্ছে। ভাঁটা শুরু হবে জোরদার তল্লাশি। আপাতত প্রহর গুনছেন গ্রামবাসীরা।
সুন্দরবনের বাঘের আক্রমণে এর আগে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের বেশিরভাগই মৎস্যজীবী। সেই গ্রামেই বাঘের ঢুকে পড়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন বনদফতরও। কীভাবে বাঘকে জঙ্গলে ফেরানো যায়, সেই বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।