South Dinajpur: বালুরঘাটে প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল, স্থায়ী জেলা পরিষদ গঠনে অনুপস্থিত বিজেপি
South Dinajpur: সভাধিপতি নির্বাচনেও বিপ্লব মিত্র এই শেষ হাসি হেসেছিলেন। সেখানেও তার অনুগামী বলে পরিচিত চিন্তামণি বিহাকে সভাধিপতি হিসেবে অনুমোদন দিয়েছিল রাজ্য।
দক্ষিণ দিনাজপুর: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদে গঠিত হল স্থায়ী সমিতি। তবে কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনের দিন ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামণি বিহা। সোমবারের স্থায়ী সমিতি গঠনে বিজেপির তিন বিধায়ক ও সাংসদের কেউই উপস্থিত ছিলেন না। সংখ্যাগরিষ্ঠ তৃণমূল সদস্যদের মধ্য থেকেই স্থায়ী সমিতিগুলি গঠিত হয়েছে। তবে শুধু বিজেপিই নয়, তাৎপর্যপূর্ণভাবে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা সদ্য নির্বাচনে জয়ী হওয়া জেলা পরিষদ সদস্য মৃণাল সরকার।
এ দিন, জেলা পরিষদের ন’টি স্থায়ী সমিতির সদস্যদের নাম চূড়ান্ত হয়। আগেই তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের তরফে কোনও কমিটিতে কারা সদস্য থাকবেন সেই তালিকা তৈরি করে পাঠানো হয়েছিল। নয়টি স্থায়ী সমিতির মধ্যে একটিতেও ঠাঁই হয়নি তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃণাল সরকারের। অথচ মৃণাল সরকারের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বলে পরিচিত মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র। তাঁর অনুগামীদের গুরুত্বপূর্ণ স্থায়ী সমিতির কমিটি গুলিতে ঠাঁই হয়েছে।
সভাধিপতি নির্বাচনেও বিপ্লব মিত্র এই শেষ হাসি হেসেছিলেন। সেখানেও তার অনুগামী বলে পরিচিত চিন্তামণি বিহাকে সভাধিপতি হিসেবে অনুমোদন দিয়েছিল রাজ্য। তাই এদিনও মৃণাল সরকার বা তার অনুগামীদের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসা আটকানোর ক্ষেত্রে বিপ্লবেরই হাত দেখছে মৃণাল শিবির। আর এই ক্ষোভেই হয়তো তিনি এদিন জেলা পরিষদের এই স্থায়ি সমিতি গঠনের সভা গুলিতে যোগ দেননি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে ফোনে মৃণাল সরকার বলেন, “আমি আমার একটা পুরনো মামলার হাজিরা দিতে বুনিয়াদপুর আদালতে ছিলাম। তাই জেলা পরিষদে যেতে পারিনি।”
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্তামণি বিহা বলেন, “আজ বিজেপির বিধায়ক, সংসদরা যোগ দেননি সভাতে। কিন্তু স্থায়ী সমিতি গুলি পঞ্চায়েত আইন মেনে গঠন হয়েছে। কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচনের দিন আগামীতে ঘোষণা করা হবে।”