Sundorbon Tiger Panic: বর্ষশেষের দিনেও নদী সাঁতরে গ্রামে এসেছিল বাঘ! নতুন করে পায়ের ছাপ ঘিরে আতঙ্ক সুন্দরবনে

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Dec 31, 2021 | 10:24 AM

Sundorbon Tiger: গোসাবা ব্লকের অন্তর্গত লাহিড়িপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামের বিধান কলোনিতে নতুন করে বাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। চর এলাকায় একাধিক পায়ের ছাপ দেখতে পান তাঁরা।

Sundorbon Tiger Panic: বর্ষশেষের দিনেও নদী সাঁতরে গ্রামে এসেছিল বাঘ! নতুন করে পায়ের ছাপ ঘিরে আতঙ্ক সুন্দরবনে
সুন্দরবনে বাঘের পায়ের ছাপ ঘিরে আতঙ্ক (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

ঝড়খালি: বছরের শেষ দিনেও সুন্দরবনের লোকালয়ে বাঘের পায়ের ছাপকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক গোসাবায়। ঘটনাস্থলে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের কর্মীরা।

বছরের শেষ দিনেও বাঘের আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না সুন্দরবন বাসীদের। শুক্রবার সকালে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তখন তাঁদেরই নজরে প্রথম বাঘের পায়ের ছাপ। গ্রাম লাগোয়া নদীর চর এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখে আতঙ্ক ছড়ায়।

গোসাবা ব্লকের অন্তর্গত লাহিড়িপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রামের বিধান কলোনিতে নতুন করে বাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। চর এলাকায় একাধিক পায়ের ছাপ দেখতে পান তাঁরা। মৎস্যজীবীরাই গ্রামের দিকে থাকা গোমর নদীর চর ধরে এগোতে থাকেন। সেখানে পায়ের ছাপ দেখতে পান বলে দাবি।

এরপর তাঁরা গ্রামে এসে খবর দেন। খবর যায় বন দফতরে। বন দফতর ও গ্রামবাসীদের ধারণা, রাতে সুন্দরবনের ঝিলা জঙ্গল থেকে বাঘ গোমর নদী সাঁতরে বিধান কলোনি এলাকায় চলে এসেছিল। স্বাভাবিকভাবেই নতুন করে আতঙ্ক দানা বেঁধেছে ওই এলাকায়।

বারবার লোকালয়ে বাঘ ঢোকার ঘটনায় গ্রামবাসীরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন। প্রশ্ন উঠছে, কেনই বা বাঘ বারবার লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে? ইতিমধ্যেই সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের সজনেখালি রেঞ্জের দুটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। নদীর চর এলাকায় বাঘের খোঁজ শুরু হয়েছেl তবে গ্রামবাসীদের ধারণা, লোকালয় লাগোয়া ম্যানগ্রোভের ঝোঁপে লুকিয়ে থাকতে পারে বাঘটিl কোনও জায়গায় রয়েছে তা খোঁজার কাজ শুরু করে দিয়েছে।

সপ্তাহ খানেকও পেরোয়নি। ৬ দিন ধরে বাঘবন্দির খেলার সাক্ষী ছিলেন সুন্দরবনবাসী। বাঘকে ধরতে গিয়ে গত ছ’দিনে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি বনকর্মীদের। ট্রাঙ্কুলাইজার নিয়ে বনকর্মীদের অভিযান, পিয়ালি নদী থেকে দমকলকর্মীদের জল স্প্রে, জঙ্গলে লঙ্কা বোমা নিক্ষেপ- কী না করা হয়েছে! কিন্তু বাঘ ছিল তার নিজের অবস্থানেই। বন দফতরের কর্মীরা তাকে নাগালে পাননি। শোনা যাচ্ছিল তার গর্জন, চোখে পড়ছিল পায়ের ছাপ, শুধু দেখা দিচ্ছিল না সে-ই।

কয়েকদিন ধরে অভুক্ত ছিল বাঘটি। তাই সে যেখানে ছিল, সেখান থেকে বের হচ্ছিল না। বাঘটির দেখা মিলতেই পরপর দুটি ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। গুলি করার কিছুসময় পরেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে বাঘটি। পুরোপুরি নিস্তেজ হয়ে গেলে ডোরাকাটাকে পরীক্ষা করতে যান পশু চিকিৎসক ও অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মীরা। বাঘটির স্বাস্থ্য় পরীক্ষা করা হয়। পিয়ালি নদীর পাড় থেকেই পাকড়াও করা হয় বাঘটিকে। বনকর্মীরা জানাচ্ছেন, বাঘটি পুরুষ। পূর্ণবয়স্ক। আপাতত সুস্থ আছে।

বুধবার সাতসকালে বনদফতরের তরফে রামগঙ্গা রেঞ্জের অন্তর্গত ঢুলিভাসানি ৪ নম্বর জঙ্গলেরামগঙ্গা রেঞ্জের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় কুলতলির লোকালয়ে চলে আসা চালা বাঘটিকে। যে দলটি দিনরাত এক করে বাঘ ধরার কাজ করেছে, তাদেরকে পুরস্কৃত করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: Sukanta Majumder On Agnimitra Paul Comments: অগ্নিমিত্রার ‘মারের বদলে মার’ হুঁশিয়ারির আসল ব্যাখ্যা বোঝালেন সুকান্ত

 

আরও পড়ুন: Bansdroni Suicide: ছেলের মৃত্যুতে প্রতিবেশীদের বলেছিলেন এক কথা আর পুলিশকে আরেক! বাঁশদ্রোণীর ছাত্রমৃত্যুতে মায়ের বয়ানে ধোঁয়াশা

Next Article