সুন্দরবনে অনলাইন ক্লাসে উপস্থিতি খুবই নগন্য। তাই পঠন-পাঠন চালু রাখতে গাছ তলাতেই ভরসা শিক্ষকদের। বিশ্বভারতীর কবিগুরুর ছাতিমতলার ছায়া এবার সুন্দরবনে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সুন্দরবন স্মার্টফোন কিনতে সক্ষম নয়। কী করে চলবে অনলাইন ক্লাস?
সংক্রমণে লাগাম টানতে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে স্কুল। ফলত ক্ষতির মুখে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। দীর্ঘ প্রায় দু'বছর ধরে স্কুল ঠিকঠাক করে খোলেনি। তাই শিক্ষার্থীদের কাছে অনলাইন ক্লাসই ছিল একমাত্র ভরসা।
দেখা গিয়েছে, শহর কেন্দ্রিক ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইন ক্লাসর সুবিধা স্মার্টফোনের মাধ্যমে উপভোগ করলেও অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল প্রত্যন্ত সুন্দরবনের শিক্ষার্থীরা। কারণ স্মার্টফোনের অভাব। সেই কারণে স্কুল ছুট রুখতে এবার গাছ তলাতেই স্কুলের ব্যবস্থা শুরু হলো বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জে।
কনকনগর এস.ডি. ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক পুলক রায় চৌধুরীর উদ্যোগে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের চারটি কেন্দ্র অর্থাৎ বাঁকড়া, কনকগর, কাঠাবাড়ি মোড় ও ১১নং সান্ডেলেরবিলে ছাত্রছাত্রীদেরকে নিয়ে গাছতলায় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হলো। ইতিহাস, অঙ্ক, বিজ্ঞান ও শারীর শিক্ষাসহ একাধিক বিষয়ের শিক্ষকরা গাছ তলাতেই তাঁদের পড়াচ্ছেন।
আর এই ভাবে ক্লাস করে খুশি স্কুলের পড়ুয়া থেকে অভিভাবক সকলে। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার কারণে যেভাবে পড়াশোনা থেকে ধীরে-ধীরে দূরে চলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা তাতে অন্তত এই ভাবে পড়াশোনা করায় কিছুটা হলেও সেই দূরত্ব ঘুচবে বলে মনে করছেন পড়ুয়ারা।