মন্দিরবাজার: শ্বশুরবাড়িতে পণের জন্য চাপ। শুধু তাই নয়, লাগাতার অত্য়াচার সহ্য করতে হচ্ছিল বলেও দাবি মহিলার বাপের বাড়ির। এরপরই গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। মহিলার বাপের বাড়ির সদস্যরা খুনের অভিযোগ তুলে যান থানায়। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। ডায়মন্ড হারবার কোর্টের নির্দেশে মৃত মহিলার দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাল পুলিশ।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজার থানার রামচন্দ্রপুর এলাকায়। সেখানকার রায়দিঘির মেনা এলাকার বাসিন্দা নার্গিস পারভিনের (২৩) সঙ্গে বছর তিনেক আগে বিয়ে হয় মন্দিরবাজারের মিসবাউল হক মোল্লার (২৮)। তাঁদের একটি ছোট এক সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণ সহ বিভিন্ন কারণে নার্গিসের উপর নির্যাতন চালাত স্বামী সহ শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। তবে গত ৪ অক্টোবর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় নার্গিসের।
বাপের বাড়ির পরিবারের অভিযোগ, নার্গিসকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। তারপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন জোর করে কবর দিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় বাসিন্দা মন্দির বাজার থানার দ্বারস্থ হয় ওই মহিলার বাপের বাড়ির লোকজন। জল গড়ায় ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে। আদালত দেহের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়। এরপর আজ দুপুরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয় কবরস্থানে। নিরাপত্তার মধ্যে কবর খুঁড়ে দেহ তোলা হয়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী ভাসুর সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরা পলাতক। অভিযুক্তদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
মৃতের বাবা নিয়মোতুল্লা মোল্লা বলেন, “আজ থেকে কুড়ি একুশ দিন আগে মেয়েটার সঙ্গে ঝামেলা হয়। সেই রাতে আমার মেয়ে ফোন করে বলে মা বাড়ি যাব। কিন্তু রাত্রি ন’টা পর্যন্ত ঝামেলা আরও বেড়ে যায়। ওরা আমার মেয়েটাকে মারতে-মারতে মেরে ফেলে। আমরা পুলিশের দ্বারস্থ হই। আজ কবর থেকে দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।”