Tiger Attacked in Sundarban: লড়াই করেও শেষ রক্ষা হল না, বাঘের হামলায় মৃত শঙ্করের চক্ষুদান পরিবারের

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Feb 02, 2022 | 1:49 PM

Sundaraban: শঙ্করের পরিবারকে সেই কথা ভাবিয়েছেন 'জনগণের পাঠশালা' নামের জয়নগরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার। তিনি কলকাতা পুলিশের কর্মী। নাম সমরেন্দ্র চক্রবর্তী।

Tiger Attacked in Sundarban: লড়াই করেও শেষ রক্ষা হল না, বাঘের হামলায় মৃত শঙ্করের চক্ষুদান পরিবারের
আক্রান্ত মৎস্যজীবী, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ২৪ ঘণ্টাও কাটল না। চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হল না। এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারেই মৃত্যু হল বাঘের হামলায় (Tiger Attacked) জখম মৎস্যজীবী শঙ্কর সর্দারের। তাঁর মৃত্যুর পর চোখ দুটি শঙ্কর নেত্রালয়ে দান করলেন মৃতের পরিবার। সোমবার রাতে বাঘের হামলায় জখম হন শঙ্কর। তারপর তাঁর চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মঙ্গলবার রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

মৃত মৎস্যজীবী  শঙ্করের পরিবার জানিয়েছে, শঙ্করের মৃত্যুর পর পরিবারের কেউই সেভাবে ভাবেননি যে তাঁর মরোণোত্তর চক্ষুদান করা হবে। শঙ্করের পরিবারকে সেই কথা ভাবিয়েছেন ‘জনগণের পাঠশালা’ নামের জয়নগরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার। তিনি কলকাতা পুলিশের কর্মী। নাম সমরেন্দ্র চক্রবর্তী। আর তাঁর সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই মঙ্গলবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে মৃত শঙ্করের চোখ দুটি দান করতে সন্মতি দেন তাঁর পরিবারের লোকজন।

মৃত মৎস্যজীবী শঙ্করের চোখ দুটি পাঠানো হয়েছে শঙ্কর নেত্রালয়ে। মৃতের শ্বশুর রামপ্রসাদ বাগানীর হাতে চক্ষুদানের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। শঙ্করের দুটি চোখ থেকে দুজন অন্ধ মানুষ কর্ণিয়া পাবেন। তাঁদের অন্ধত্ব ঘুচবে। এক্ষেত্রে ভবানীপুর থানাও ব্যাপক সহযোগিতা করেন। তাঁরা নো অবজেকশান সার্টিফিকেট দেন প্রায়  সঙ্গে সঙ্গেই।

শুক্রবার কুলতুলির দেউলবাড়ির বাসিন্দা শঙ্কর সর্দার তাঁর তিন সঙ্গীকে নিয়ে কাঁকড়া ধরতে যান বেনিফলির জঙ্গলে। সেখানে গিয়েই সোমবার আচমকা বাঘের হানায় জখম হন তিনি। শঙ্করের সঙ্গীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য সময়ের মতোই কাঁকড়া ধরতে জঙ্গলে গিয়েছিলেন তাঁরা। দলবেঁধে শুক্রবার থেকেই চলছিল কাঁকড়া ধরার কাজ। সোমবার নৌকায় শঙ্কর ও  বাকিরা ছিলেন। আচমকাই চোখের পলকে একটি বাঘ জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে নৌকাতে। হাতের কাছে শিকার পেয়েই শঙ্করের মাথার পিছনে ও পিঠে থাবা বসায় বাঘটি। সেখানেই শেষ নয়, কার্যত, শঙ্করকে জঙ্গলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

এদিকে, আচমকা বাঘের আক্রমণে হতভম্ব বাকি মৎস্যজীবীরা চিৎকার করতে শুরু করেন এমনকী, লাঠি ও বৈঠা নিয়ে বাঘটিকে আঘাত করার চেষ্টাও করেন। অত মানুষের চিৎকারে, ওই ডোরাকাটা তার শিকার ফেলে রেখেই পালায়। গুরুতর জখম অবস্থায় শঙ্কর নামের ওই ধীবরকে দ্রুত নিকটবর্তী গ্রামে আনা হয়। সেখান থেকে সোমবার রাতেই চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় জয়নগর-কুলতুলির গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু, শঙ্করের শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি হওয়ায় রাতেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মারা যান শঙ্কর।

আরও পড়ুন: WBBSE: খুলছে স্কুল, একাদশ-দ্বাদশের জন্য প্র্যাকটিকাল ক্লাসে জোর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal on CBI Summoned: দ্বিতীয়বার CBI-এর তলব এড়ালেন ‘অসুস্থ’ অনুব্রত

 

 

Next Article