Anubrata Mondal on CBI Summoned: দ্বিতীয়বার CBI-এর তলব এড়ালেন ‘অসুস্থ’ অনুব্রত

Kolkata: গত শুক্রবার ২৮ জানুয়ারিও অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু, সেদিনও তিনি 'অসুস্থ' বলে হাজির হতে পারেননি। ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে তদন্তকারীদের মনে।

Anubrata Mondal on CBI Summoned: দ্বিতীয়বার CBI-এর তলব এড়ালেন 'অসুস্থ' অনুব্রত
হাজিরা দিলেন না অনুব্রত, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 02, 2022 | 9:13 AM

কলকাতা: একবার নয়, পরপর দু’বার। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা বা সিবিআইয়ের (CBI) তলব করলেও দ্বিতীয়বার হাজিরা এড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। জানালেন তিনি ‘অসুস্থ’, তাই হাজিরা দিতে পারছেন না। বীরভূমের ইলামবাজারের গোপালনগরের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারের খুনের অভিযোগে যে মামলা দায়ের হয়েছে, তারই তদন্তে অনুব্রতকে ডাকা হয় বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।

গত শুক্রবার ২৮ জানুয়ারিও অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই। কিন্তু, সেদিনও তিনি ‘অসুস্থ’ বলে হাজির হতে পারেননি। ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে তদন্তকারীদের মনে। বিরোধীদের একাংশের যদিও খোঁচা, সিবিআইয়ের হাজিরা এড়াতেই অসুস্থতার ভান করছেন কেষ্ট মণ্ডল। যদিও এ বিষয়ে খোদ অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।

গত ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের দিন গোপালনগর গ্রামে গৌরব সরকার নামে এক বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। বিজেপি জেলা নেতৃত্বের অভিযোগ, ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজয় মিছিল করে স্থানীয় তৃণমূলের নেতারা। সেই বিজয় মিছিল থেকে গৌরব সরকারের উপর চড়াও হন একদল যুবক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গৌরবের বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমেই দিলীপ মৃধা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তিনি তৃণমূলের লোক বলেই অভিযোগ ওঠে। গ্রেফতারের পরদিনই ইলামবাজারে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সম্পাদককে একটি নোটিস দেওয়া হয়। সেই ঘটনার তদন্তেই অনুব্রতকে তলব করা হয়।

ভোট পরবর্তী হিংসা  তদন্তে ইতিমধ্যেই ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে সিবিআই। দায়ের করা হয়েছে একাধিক এফআইআরও। কিছুদিন আগেই হিংসা তদন্তের তৃতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট  হাইকোর্টে জমা দিয়েছে  সিবিআই। এই রিপোর্টে নতুন ১০ টি চার্জশিট, ১টি এফআইআর উল্লেখ করা হয়েছে। দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার এক মাসের মধ্যেই তৃতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ ডিসেম্বর ভোট পরবর্তী হিংসার দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছিল সিবিআই। তাতে উল্লেখ ছিল, ৫০ টি এফআইআর ইতিমধ্যেই রুজু হয়েছে। অক্টোবরে মুখবন্ধ খামে আরও একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বরে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেন তদন্তকারীরা। ২২ সেপ্টেম্বর নিজাম প্যালেসে রিভিউ বৈঠকেও বসেন তাঁরা। দিল্লি থেকে জয়েন্ট ডিরেক্টররা আসেন কলকাতায়। কতগুলি এফআইআর হল, কতগুলি চার্জশিট জমা পড়েছে, কতজন গ্রেফতার হয়েছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ উল্লেখ রিপোর্টে থাকবে বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।