বারুইপুর: হাতে আর কয়েকদিন। তারপরই পুরভোট। জোর কদমে চলছে নির্বাচনী প্রচার। টিকিট না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ এক নির্দল প্রার্থীকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। গোটা ঘটনায় হতবাক ওই নির্দল প্রার্থী। কারণ তিনি তৃণমূলের কোনও পদে এতদিন ছিলেন না। সামান্য সমর্থক ছিলেন। আর সমর্থককে কি আদৌ বহিষ্কার করা যায়? উঠছে প্রশ্ন। পুরভোটে জোর কদমে চলছে নির্বাচনী প্রচার। সোমবার তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর দলীয় নেতা কর্মীদের বহিষ্কার করে তৃণমূল নেতৃত্ব। আর তাতেই শোরগল পড়তে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। তেমনই অবস্থা বারুইপুর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থীর বাসুদেব ঘোষের।
পুরসভার পুর প্রধান তথা পুর প্রশাসক শক্তি রায়চৌধুরী নিজে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হলেও একটানা জিতে আসছেন ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। এবারও ওই ওয়ার্ড থেকেই শক্তি বাবু দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতিককালে ওই ওয়ার্ডেই অন্য কাউকে প্রার্থী করার দাবি তুলেছিল দলের কর্মী, সমর্থকরা। তবে তৃণমূল তাদের আবেদন কর্ণপাত করেনি। এরপরই হইচই পড়ে যায়। আচমকা ওই ১৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্দল হয়ে ‘জোড়া পাতা’ প্রতীকে প্রার্থী হয়ে যান বাসুদেব ঘোষ।
এরপর সোমবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, শুভাশিস চক্রবর্তী ও শওকাত মোল্লারা সাংবাদিক সম্মেলন করে বাসুদেব বাবুকে বহিস্কারের কথা ঘোষণা করেন। সেই ঘোষণার পর রাতে নিজের সমর্থকদের নিয়ে রাস্তায় বের হন বাসুদেববাবু। তিনি রীতিমত অবাক হয়ে জানান, দলের কোনও পদে না থাকা এক সাধারণ দলীয় সমর্থককে আদৌ কি বহিষ্কার করা যায়?
প্রসঙ্গত, আমি তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে সমর্থক ছিলাম। এর আগে আমি কংগ্রেস সমর্থক ছিলাম। আমি তৃণমূলের কোনও পদে নেই। কোনও সমর্থককেও বহিষ্কার করা যায় কিনা তা আমার জানা নেই। আমি কর্মী। জানিনা যে কর্মীদেরও বহিষ্কার করা যায়।
প্রসঙ্গত, চার পুরনিগমের নির্বাচনে বিপুল জয় তৃণমূলের। স্বভাবতই আত্মবিশ্বাস আরও পোক্ত হয়েছে দলের অন্দরে। তাই আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮টি পুরসভার ভোটে কোনওরকম কাঁটা রাখতে চাইছে না তৃণমূল। পুরনিগমের ফল প্রকাশের বিকেলে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্যে তারই স্পষ্ট ইঙ্গিত। সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্দলদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য নির্দলদের ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন তিনি। এই সময়ের মধ্যে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূলের নব মনোনীত জাতীয় কর্মসমিতির এই নেতা। এরপর থেকেই জেলাগুলিতে বহিষ্কার পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। যে সকল প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাঁদের দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: AMTA Student Death: ‘আগে দোষীরা শাস্তি পাক তারপর…’ নবান্নর দেওয়া চাকরির প্রস্তাব ফেরালেন আনিসের বাবা
আরও পড়ুন: Business Man Death: হঠাৎ পিছন থেকে এলোপাথাড়ি গুলি, মুখ খোলার আগেই চলে গেল তরতাজা প্রাণ