Saayoni Ghosh: ‘গদ্দার হটাও ভাঙড় বাঁচাও’, ভাঙড়ে শওকতের পাশে দাঁড়িয়ে আরাবুলকে নিশানা সায়নীর
Saayoni Ghosh: বিগত ক’দিন ধরে ভাঙড়ে শওকাত ও আরাবুল গোষ্ঠীর মধ্যে প্রকাশ্যে এসছে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। রবিবার পাঁচ বিধায়ক এক সাংসদ নিয়ে ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে কর্মীসভা করে শওকাত। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে শওকাত মোল্লা বিরোধীদের এভাবেই আক্রমণ করেন সায়নী।
ভাঙড়: তৃণমূলের ‘মাথাব্যথা’ ভাঙড়ে এবার ‘অন্তর্ঘাত’ তত্ত্ব। শওকাত মোল্লার পাশে দাঁড়িয়ে ঘুরিয়ে আক্রমণ আরাবুল ইসলামকে। ‘গদ্দার হঠাও ভাঙড় বাঁচাও’ নাম না করে আরাবুল ইসলামকে এই ভাষায় আক্রমণ করলেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সায়নী ঘোষ।
রবিবার পাঁচ বিধায়ক এক সাংসদ নিয়ে ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে কর্মীসভা করে শওকাত। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে শওকাত মোল্লা বিরোধীদের এভাবেই আক্রমণ করেন সায়নী। প্রসঙ্গত, ক’দিন ধরে ভাঙড়ে শওকাত ও আরাবুল গোষ্ঠীর মধ্যে প্রকাশ্যে এসছে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। জেল মুক্তির পর সরাসরি শওকাত মোল্লাকে হার্মাদ বলে কটাক্ষ করেছেন আরাবুল ইসলাম। তারপরেই শওকাত মোল্লার ডাকে এদিনের এই সভা। সেখান থেকে উপস্থিত বিধায়ক ও সাংসদের একের পর এক আরাবুল গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায়। যা ভাঙড়ের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
এদিন সায়নী বলেন, “নির্বাচনের সময় যাঁরা দলের পিঠে ছুরি মেরেছে তাঁদের শনাক্ত করুন। আইএসএফ পরে, বিজেপি পরে, সিপিএম পরে। আগে তৃণমূলের মধ্যে যাঁরা করেছে তাঁদের শনাক্ত করুন। যাঁরা শওকত মোল্লার পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন দাদা তোমার সঙ্গে আছি তুমি এগিয়ে চলো। তারপর শওকত চলে যাওয়ার পরে বলেছে কে শওকত চিনি না, আমি এখানকার লিডার, তাঁদের শনাক্ত করুন। তাঁদের আগে বের করুন। গদ্দার হটাও, ভাঙড় বাঁচাও।”
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরেই শওকত-আরাবুল দ্বন্দ্বে তপ্ত ভাঙড়। সরাসরি তোপ দেগেছেন আরবুল। আগেই শওকতকে নিশানা করে হার্মাদ বলেও তোপ দেগেছিলেন। বলেন, “শওকত মোল্লা নিজে আরাবুলের ছেলেদের হাত ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছিল। অর্জারভার বলে দাবি করে এলাকায় সন্ত্রাস করছে। পুরনো তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের আক্রমণ করা হচ্ছে।” পাল্টা তোপ দেগেছেন শওকতও। বলছেন, “কোন পাগল কী বলছেন সেটা তাঁর বিষয়। এ সব বিষয়কে দল গুরুত্ব দেয় না।”