ক্যানিং: আবাস নিয়ে শোরগোল যেন কিছুতেই থামছে না। লাগাতার উঠছে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ। রাস্তায় নামছে মানুষ। এরইমধ্যে আর এক নতুন অভিযোগ ঘিরে চাপানউতোর ক্যানিংয়ে। অভিযোগ, আবাস যোজনায় তালিকাভুক্তদের টাকা চলে যাচ্ছে অন্য অ্য়াকাউন্টে। তা নিয়েই শোরগোল ক্যানিং ১ নম্বর ব্লক এলাকার ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের হেড়ভাঙ্গা গ্রামের সুখ সাগরে। ২০২১ সালে আবাস যোজনায় নাম উঠেছিল স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল মণ্ডল, মামুদ আলি মোল্লা, সেলিম মোল্লা ,আক্রম মোল্লার, শামসুল মোল্লাদের।
সূত্রের খবর, তালিকায় নাম ওঠার পর সরকারিভাবে সার্ভেও করা হয়েছিল। অন্যদের অ্য়াকাউন্টে টাকা এলেও এই কয়েকজন ব্যক্তির অ্য়াকাউন্টে টাকা আসেনি। বিপাকে পড়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সুতপা নস্করের কাছে সমস্যা সমাধানের জন্য দরবার করেন সিরাজুন, মামুদরা। সমস্যার কথা জানানো হয় ক্যানিং এক নম্বরের বিডিওকেও। কিন্তু, প্রশাসনের তরফে কোনও সহযোগিতা মেলেনি বলে অভিযোগ।
কোনও উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত সুবিচারের আশায় ২০২৩ সালে তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। নড়েচড়ে বসে কোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি রবি কিষান কাপুর অবিলম্বে এই বিষয়ে প্রশাসনকে অ্য়াকশন নেওয়ার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের বিডিও ও ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর তলব করা হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। যদিও রাজ্য়ের তরফে জানানো হয়েছে ভুল করে ওই পাঁচজনের টাকা অন্য অ্য়াকাউন্টে চলে গিয়েছে। সূত্রের খবর, সেই যুক্তিতে খুব একটা চিঁড়ে ভেজেনি। পাল্টা ‘ইচ্ছাকৃত জালিয়াতি’ বলে মন্তব্য করেন বিচারপতি। কোর্টের হস্তক্ষেপের পরে আপাতত টাকা পাওয়ার আশায় বুক বাঁধছেন ওই সেলিম-আক্রমরা। যদিও ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দাবি, তাঁরা কাছে সবটাই ধোঁয়াশা। কিছুই জানেন না। এদিকে এই সুযোগে ফের একবার শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ইস্যুতে কটাক্ষবাণ শানিয়েছে বিরোধীরা।