দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নরেন্দ্রপুর (Narendrapur) থানা এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ উঠল। সোমবার রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঢালুয়া নবপল্লি এলাকায় বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ ওঠে। রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। এলাকাবাসী ত্রস্ত হয়ে ওঠেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় তিনটি তাজা বোমা। নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ এসে বোমাগুলি উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় এলাকাবাসীর মনে। মঙ্গলবার সকালেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি এলাকায় ভয়ের আবহ তৈরি করতে এসব করছে বলেই দাবি শাসকদলের। পাল্টা বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কতটা প্রকট, তার ফলই বা কী তা রাজ্যের মানুষ দেখতে পাচ্ছে। এই ঘটনার পিছনেও শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে বলেই দাবি বিজেপি নেতা সুনীপ দাসের।
সোমবার গভীর রাত। শীতের রাতে দরজা জানালা এঁটে ঘুমোচ্ছিলেন পাড়ার মানুষ। চারদিক চুপচাপ, নৈঃশব্দ্যে মোড়া। ঢালুয়া নবপল্লি এলাকার বাসিন্দা সঞ্জীব রায় জানান, “রাত প্রায় আড়াইটে তখন। বিকট শব্দ শুনতে পাই। আমরা ভাবলাম বিশ্বকাপ চলছে। হয়ত বাজি ফাটল। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হয় এ শব্দ কোনও সাধারণ বাজির শব্দ নয়। এটা ভীষণভাবে একটা বিস্ফোরণের আওয়াজ। তবে রাতে আর কেউ বেরোয়নি। সকালে এসে দেখছি রাস্তায় তিনটে বোমা পড়ে রয়েছে। একটা ফেটেছে। সেই বিস্ফোরণে আমাদের নবপল্লি শিশু উদ্যানের বোর্ডটা ফুটো হয়ে গেছে। পাশের দেওয়ালেও স্প্লিন্টার লেগে ফুটো হয়ে গেছে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, এই এলাকায় শিক্ষিত লোকজনের বাস। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ এলাকা। এরকম ঘটনাও যে ঘটতে পারে, অবাক হচ্ছেন তাঁরা। স্থানীয় কাউন্সিলর পাপিয়া হালদার বলেন, “সামনে পঞ্চায়েত ভোট। বুঝতেই পারছি কারা কী করছে। আমার ওয়ার্ডের লাগোয়া পঞ্চায়েত এলাকা। এগুলো বিরোধীদের কাজ। আমাদের ওয়ার্ড খুব শান্তিপূর্ণ। মানুষকে ভয় দেখাতে বিরোধীরা এসব করছে।”
বিজেপি নেতা সুনীপ দাস বলেন, “কিছুদিন আগে তৃণমূল নেতা বলছিলেন এখানে কোনও বিজেপি নেই। এখন আবার ওনারাই বলছেন, বিজেপি করছে এসব। তাই এসব মিথ্যা কথা বলে লাভ নেই। বোমাবাজির ঘটনা যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল তা সকলেই বুঝতে পারছে।”