Bakkhali: গ্রামের বাঁধ উপচে ঢুকেছে সাগরের জল, তবে রাত থেকেই থেমেছে বৃষ্টি, কমেছে হাওয়ার দাপটও

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Oct 25, 2022 | 8:04 AM

Cyclone Sitrang: এর আগে আমফান, ইয়াস ও বুলবুলের মতো সাইক্লোনের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে প্রত্যন্ত সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকা। তাই এবারও ভয়ে ছিলেন এখানকার মানুষ।

Bakkhali: গ্রামের বাঁধ উপচে ঢুকেছে সাগরের জল, তবে রাত থেকেই থেমেছে বৃষ্টি, কমেছে হাওয়ার দাপটও
সাগরের জল ঢুকেছে গ্রামেও।

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ওপার বাংলায় ল্যান্ডফল হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের। এপার বাংলায় মোটের স্বস্তি। বকখালির (Bokkhali) পাশে কিছু জায়গায় জোয়ারের জল ঢোকে সোমবার। তবে পরে তা নেমেও যায়। সোমবার রাতে জোয়ারের সময় বকখালির পাশে হাতিকর্নার ও অমরাবতী গ্রামে বাঁধ উপচে বঙ্গোপসাগরের জল ঢুকে পড়ে। বাঁধের পাশে থাকা কিছু বাড়ি ও দোকানেও জল ঢুকে যায়। এছাড়া গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির চত্বরে তিন থেকে পাঁচ নম্বর রাস্তার মাঝের অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

কিছু বন্ধ দোকানের মধ্যেও জল ঢুকে পড়ে সোমবার। তবে ভাটার সময় আবার জল নেমেও যায়। সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল রাতেই গঙ্গাসাগরে যান। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। সাগরের অন্য অংশে বাঁধ উপচে জল ঢোকার কোনও খবর নেই বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর। বৃষ্টিও থেমেছে। রাতে ঝোড়ো বাতাসের দাপটও তেমন বোঝা যায়নি।

কার্যত সন্ধ্যার পর থেকেই গঙ্গাসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় সিত্রাংয়ের প্রভাব কাটতে থাকে। তবে ত্রাণ শিবিরে থাকা লোকজনকে আজই বাড়ির পথে ফেরানো হবে কি না তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও কিছু জানানো হয়নি। এ নিয়ে জেলা প্রশাসনই সিদ্ধান্ত নেবে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে ঝলমলে আকাশ। সুন্দরবনের সব ফেরি সার্ভিস মঙ্গলবারও বন্ধ থাকার কথা আগাম ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ফেরি সার্ভিসও বেলার দিকে চালু হতে পারে। তবে দুর্যোগ কাটলেও অমাবস্যার কোটালের জেরে সুন্দরবনের নদী ও সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পাবে আগামী তিনদিন। সেদিকেও নজর রাখছে প্রশাসন ও সেচ দফতর।

এর আগে আমফান, ইয়াস ও বুলবুলের মতো সাইক্লোনের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে প্রত্যন্ত সাগরের বিস্তীর্ণ এলাকা। তাই এবারও ভয়ে ছিলেন এখানকার মানুষ। যদিও সন্ধ্যার পরই অনুমান করা গিয়েছিল, এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ এপার বাংলা নয় ওপার বাংলা। হয়েছেও তাই। বরিশাল, চট্টগ্রামে রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়েছে সিত্রাং। ৯ জন মারা গিয়েছেন। ৭ জন গাছ চাপা পড়ে প্রাণ হারান, ২ জন নৌকাডুবিতে। বহু ঘরবাড়ি, দোকানপাটের ক্ষতি হয়েছে। যদিও এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ স্পষ্ট নয়।

Next Article