Crime: কী নৃশংস! প্রকাশ্য রাস্তায় স্ত্রী-র গায়ে এলোপাথাড়ি ব্লেডের কোপ, আঁতকে উঠছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 22, 2021 | 1:54 PM

Sonarpur: সেই ব্লেডের ঘায়ে ডান হাত ও মুখের দুই অংশে হয় গভীর ক্ষত

Crime: কী নৃশংস! প্রকাশ্য রাস্তায় স্ত্রী-র গায়ে এলোপাথাড়ি ব্লেডের কোপ, আঁতকে উঠছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
২১ বাংলাদেশিকে আটক করেছে পুলিশ। (প্রতীকী ছবি)

Follow Us

সোনারপুর:প্রকাশ্য রাস্তায় স্ত্রীর গায়ে একের পর এক কোপ বসাচ্ছে স্বামী। ঝড়ছে রক্ত। তবুও থামছে না অভিযুক্ত। পরে স্থানীয়দের চেষ্টায় আহত মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

ঘটনাটি সোনারপুরের স্টেশন এলাকার। জানা গিয়েছে, আহত মহিলার নাম কনক দাস (৪৭)। তার স্বামী দেবকুমার দাস। পুলিশ জানাচ্ছে, ওই দম্পত্তি গোসাবার বাসিন্দা। সোনারপুরে চণ্ডিতলায় ভাড়া থাকেন তাঁরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন,সোনারপুর স্টেশনে তারা দু’জন ঝগড়া করছিল অনেকক্ষণ থেকেই। এরপর হঠাৎ অভিযুক্ত স্বামী এলোপাথারি ব্লেড চালায় স্ত্রীর উপর। সেই ব্লেডের ঘায়ে ডান হাত ও মুখের দুই অংশে হয় গভীর ক্ষত। অঝরে বের হতে থাকে রক্ত। পরে পুলিশ এসে আহত মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। গ্রেফতার করা হয় স্বামীকে।তবে কী কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক ঝামেলার কারণেই এই ঘটনা বলে পুলিশ মনে করছে।

উল্লেখ্য়, গতকাল আরও একটি অপরাধের ঘটনা সামনে আসে। কুমারগঞ্জ ব্লকের মোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা লোকনাথ মার্ডি। পেশায় সে রাজমিস্ত্রি। বাড়িতে স্ত্রী ও বাবা মা রয়েছে। মাস দুয়েক আগেই ভালোবেসে করে বিয়ে করে লোকনাথ। কিন্তু তাতে কী! বিয়ের পর থেকে বিবাদ লেগেই থাকত ওই দম্পতির মধ্যে। এরপর গত ১৮ তারিখ রাতে পারিবারিক বিবাদ শুরু হয় দম্পতির মধ্যে। অভিযোগ, ওই দিন রাতেই ঘুমানোর সময় দা দিয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দেয় স্ত্রী । বিছানা থেকে মাটির দেওয়াল রক্ত ভরে যায়।

লোকনাথের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। দেখেন মাটিতে শুয়ে ছটফট করছে সে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে প্রথমে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও সেদিন রাতেই তাকে শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ১৯ তারিখ কুমারগঞ্জ থানায় জখম লোকনাথের বাবা লক্ষ্মণ মার্ডি পুত্রবধূ ও ছেলের শ্বশুর এবং শাশুড়ির নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেতেই ১৯ তারিখেই ছেলের শ্বশুর বিমল হাঁসদাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বুধবার বালুরঘাট থানায় আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত স্ত্রী। পরে সেদিন রাতেই অভিযুক্ত মহিলাকে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ গ্রেফতার করে ৷ বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করে পুলিশ ৷ গতকালই ধৃতদের বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলে পুলিশ। এদিকে বর্তমানে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে জখম ওই যুবক। কেন এমন ঘটনা ঘটালো অভিযুক্ত মহিলা তার তদন্তে নেমেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: R G Kar Hospital: দুর্নীতির অভিযোগে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চিঠি ডক্টরস ফোরামের

Next Article