Kultuli: ‘বুঝতে পারি, নাহ! চিত্কারটা তো অন্যরকম… বাঁচাও বাঁচাও করছিলেন ওঁরা’, কুলতুলিতে মাঝনদীতে ভয়াবহ ঘটনা

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Oct 22, 2021 | 8:12 AM

South 24 Parganas: প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বহন ক্ষমতার থেকে অতিরিক্ত যাত্রী তুলেছিলেন মাঝি। ফলে নৌকার ভারসাম্যতা নষ্ট হয়।

Kultuli: বুঝতে পারি, নাহ! চিত্কারটা তো অন্যরকম... বাঁচাও বাঁচাও করছিলেন ওঁরা, কুলতুলিতে মাঝনদীতে ভয়াবহ ঘটনা
কুলতুলিতে নৌকা ডুবি (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মাঝ নদীতে উল্টে গেল যাত্রীবোঝাই নৌকা। বরাত জোরে রক্ষা পেলেন জনা তিরিশেক যাত্রী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুলতুলিতে (Kultuli) পিয়ালী নদীতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে।

আবহাওয়ার সেরকম কোনও বিপদের পূর্বাভাস ছিল না। সময় মতোই সন্ধ্যায় যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন মাঝি। মহিষমারি হাট থেকে মেরিগঞ্জ গ্রামে যাওয়ার পথে ঘটেছে দুর্ঘটনা। আচমকাই পিয়ালী নদীতে উল্টে যায় যাত্রীবোঝাই নৌকাটি। নৌকা প্রত্যেক যাত্রীই নদীতে পড়ে যান। তবে নৌকার তলায় আটকে যাননি কেউ। আর তাতেই এড়ানো যায় বড় বিপদ।

নৌকার বেশির ভাগ যাত্রীই সাঁতার জানতেন। আর যাঁরা জানতেন না তাঁদের চিত্কারে স্থানীয় বাসিন্দারা জলে নেমে পড়েন। স্থানীয়দের তত্পরতাতেই মৃত্যুর ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়। একাধিক যাত্রীকে প্রায় পিঠে চাপিয়ে টেনে পাড়ে আনেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নাক-মুখ দিয়ে জল পেটে চলে যাওয়ায় অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে প্রাথমিক চিকিত্সায় তাঁরা সুস্থও হয়ে উঠেছেন।

আবহাওয়ার গতিবিধি ভালই ছিল। আবহাওয়াবিদদের আগে থেকে কোনও সতর্কতাও ছিল না। তবে কী কারণে হঠাত্ দুর্ঘটনা? প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বহন ক্ষমতার থেকে অতিরিক্ত যাত্রী তুলেছিলেন মাঝি। ফলে নৌকার ভারসাম্যতা নষ্ট হয়।

মাঝনদীতে জলের তোড়ে বেসামাল হয়ে পড়ে নৌকাটি। সন্ধ্যায় অনেকেই কাজ থেকে বাড়ি ফেরেন। ফলে যাত্রীর সংখ্যাও বেশি থাকে। একসঙ্গে অত্যাধিক যাত্রী তোলাতেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুলতলি থানার পুলিশl জানা গিয়েছেlজানা গিয়েছে ৩০ জন যাত্রী ছিলো ওই নৌকাটিতে।

এক যাত্রী বলেন, “আমরা এক মুহূর্ত আগেও ঠিক বুঝতে পারিনি এমনটা হবে। আচমকাই নৌকা উল্টে যায়। নীচে আগে সাঁতরে সরে আসি। দেখি অনেকেই জলে হাবুডুবু খাচ্ছেন। তারপর এক জনের জামার কলার চেপে ধরি। আমি আর ওঁ দুজনে একসঙ্গে সাঁতরে আসি। তবে স্থানীয়রা ঝাঁপিয়ে না পড়লে অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটত। আমরা যাঁরা ছিলাম, তাঁরা নিজেদের বাঁচাব না অন্যদের! মৃত্যুর মুখ থেকে যেন ফিরে এলাম। ”

উদ্ধারকারী এক গ্রামবাসী বলেন, “আমরা সন্ধ্যার পর সাধারণত ঘরেই থাকি। ঘর থেকেই চিত্কার শুনতে পেয়েছিলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম হাটে হই হট্টগোল হচ্ছে। পরে বুঝতে পারি, নাহ! চিত্কারটা তো অন্যরকম। বাঁচাও বাঁচাও করছিলেন অনেকে। ঘর থেকে আমরা অনেকেই বেরিয়ে আসি। দেখি মাঝ নদীতে অনেকেই হাবুডুবু খাচ্ছেন। দূরে দেখি নৌকা পুরো উল্টে। কিছু না ভেবেই আমরা জনা চার-পাঁচেক ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম নদীতে।”

আরও পড়ুন: TMC Clash: ইস্যু মহিলাদের আবাসনে ঢুকিয়ে উদ্দাম পার্টি! তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত বেলঘরিয়া

আরও পড়ুন: জোরে-জোরে বাজানো হচ্ছিল মাইক, বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত খোদ পুলিশকর্মীরাই

Next Article