দোমহনি : গত ১৩ জানুয়ারি বিকানের এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয় ময়নাগুড়ির কাছে। আচমকা লাইনচ্যুত হয়ে যায় একাধিক বগি। একটি বগির ওপর আর একটি উঠে পড়ে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ট্রাকশন মোটর খুলে যাওয়াতেই এই দুর্ঘটনা। তবে এবার সেই দুর্ঘটনার তদন্তের সূত্রে সামনে এক চাঞ্চল্যকর অডিয়ো ক্লিপ। সেই অডিয়ো ক্লিপে শোনা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার আগে ট্রেনের চালকের সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছে স্টেশন মাস্টারের। তিনি চালককে বলেছিলেন, ট্রেন থেকে স্ফুলিঙ্গ বেরতে দেখা যাচ্ছে। যদিও ওই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি Tv9 বাংলা। কিন্তু ওই অডিয়ো থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, সমস্যার ইঙ্গিত পেয়েও বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে ট্রেন থামানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটত না বলেই মনে অনুমান করা হচ্ছে।
চালক স্টেশন মাস্টারকে জিজ্ঞেস করছেন, ঠিক কোথায় স্ফুলিঙ্গ দেখা যাচ্ছে? উত্তরে স্টেশন মাস্টার জানান যে একটা স্পার্ক দেখা যাচ্ছিল, কিন্তু পরে বোঝা যাচ্ছে না। এরপর চালক জানান, হতে পারে তিনি ব্রেক কষেছেন, তার থেকেই ওই স্পার্ক দেখা গিয়েছে। এরপর স্টেশন মাস্টার চালককে ট্রেন এগিয়ে নিয়ে যেতে বলেন। ট্রেন থামানোর কথা বলেননি কেউই।
মনে করা হচ্ছে, যদি স্টেশন মাস্টার আর একটু জোর দিয়ে চালককে ট্রেন থামাতে বলতেন, অথবা চালক ট্রেন পর্যবেক্ষণ করার উদ্যোগ নিতেন, তাহলে সমস্যা অনেক আগেই ধরা পড়ে যেত। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ট্রাকশন মোটর খুলে যাওয়াতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর সেই ট্রাকশন মোটর খুলে যাওয়ার কারণেই ওই আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, স্টেশন মাস্টার জোর দিয়ে ট্রেন থামানোর কথা বলতে পারেননি, কারণ, একেবারে নিশ্চিত না হয়ে ট্রেন দাঁড় করালে সাসপেন্ডও হতে পারতেন তিনি। তাই আশঙ্কা থাকলেও কোনও পদক্ষেপ করতে পারেননি সম্ভবত।
এ দিকে, কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির তদন্তে জানা গিয়েছে, ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে ত্রুটি ছিল। রক্ষণাবেক্ষণের অভিযোগ আগে থেকেই তুলেছিলেন ইউনিয়নের সদস্যরা।
রেলের তদন্তের বেহাল পরিকাঠামোর তত্ত্বই উঠে আসছে। তবে তদন্ত এখনও চলছে। রেলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরাও। তাঁদের একাংশ ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন, রেলের নিম্নমানের বগিগুলিকেই বাংলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পিছনে রেলের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন অনেকে।
এ ছাড়া, ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলের তরফেই বড়সড় গাফিলতি ছিল বলেই স্বীকার করে নিয়েছেন আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম দিলীপ কুমার সিং। সব তথ্য একজায়গায় করে খতিয়ে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন : Kolkata Municipal Corporation: ‘কাউন্সিলর কোনও দলের হয় না’… সকলের জন্য কাজের পাঠ মহানাগরিক ফিরহাদের
দোমহনি : গত ১৩ জানুয়ারি বিকানের এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয় ময়নাগুড়ির কাছে। আচমকা লাইনচ্যুত হয়ে যায় একাধিক বগি। একটি বগির ওপর আর একটি উঠে পড়ে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ট্রাকশন মোটর খুলে যাওয়াতেই এই দুর্ঘটনা। তবে এবার সেই দুর্ঘটনার তদন্তের সূত্রে সামনে এক চাঞ্চল্যকর অডিয়ো ক্লিপ। সেই অডিয়ো ক্লিপে শোনা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার আগে ট্রেনের চালকের সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছে স্টেশন মাস্টারের। তিনি চালককে বলেছিলেন, ট্রেন থেকে স্ফুলিঙ্গ বেরতে দেখা যাচ্ছে। যদিও ওই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি Tv9 বাংলা। কিন্তু ওই অডিয়ো থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, সমস্যার ইঙ্গিত পেয়েও বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে ট্রেন থামানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন থামিয়ে দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটত না বলেই মনে অনুমান করা হচ্ছে।
চালক স্টেশন মাস্টারকে জিজ্ঞেস করছেন, ঠিক কোথায় স্ফুলিঙ্গ দেখা যাচ্ছে? উত্তরে স্টেশন মাস্টার জানান যে একটা স্পার্ক দেখা যাচ্ছিল, কিন্তু পরে বোঝা যাচ্ছে না। এরপর চালক জানান, হতে পারে তিনি ব্রেক কষেছেন, তার থেকেই ওই স্পার্ক দেখা গিয়েছে। এরপর স্টেশন মাস্টার চালককে ট্রেন এগিয়ে নিয়ে যেতে বলেন। ট্রেন থামানোর কথা বলেননি কেউই।
মনে করা হচ্ছে, যদি স্টেশন মাস্টার আর একটু জোর দিয়ে চালককে ট্রেন থামাতে বলতেন, অথবা চালক ট্রেন পর্যবেক্ষণ করার উদ্যোগ নিতেন, তাহলে সমস্যা অনেক আগেই ধরা পড়ে যেত। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ট্রাকশন মোটর খুলে যাওয়াতেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর সেই ট্রাকশন মোটর খুলে যাওয়ার কারণেই ওই আগুনের স্ফুলিঙ্গ দেখা যাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, স্টেশন মাস্টার জোর দিয়ে ট্রেন থামানোর কথা বলতে পারেননি, কারণ, একেবারে নিশ্চিত না হয়ে ট্রেন দাঁড় করালে সাসপেন্ডও হতে পারতেন তিনি। তাই আশঙ্কা থাকলেও কোনও পদক্ষেপ করতে পারেননি সম্ভবত।
এ দিকে, কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির তদন্তে জানা গিয়েছে, ইঞ্জিনের রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে ত্রুটি ছিল। রক্ষণাবেক্ষণের অভিযোগ আগে থেকেই তুলেছিলেন ইউনিয়নের সদস্যরা।
রেলের তদন্তের বেহাল পরিকাঠামোর তত্ত্বই উঠে আসছে। তবে তদন্ত এখনও চলছে। রেলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরাও। তাঁদের একাংশ ইতিমধ্যেই অভিযোগ করেছেন, রেলের নিম্নমানের বগিগুলিকেই বাংলার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পিছনে রেলের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন অনেকে।
এ ছাড়া, ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় রেলের তরফেই বড়সড় গাফিলতি ছিল বলেই স্বীকার করে নিয়েছেন আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম দিলীপ কুমার সিং। সব তথ্য একজায়গায় করে খতিয়ে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন : Kolkata Municipal Corporation: ‘কাউন্সিলর কোনও দলের হয় না’… সকলের জন্য কাজের পাঠ মহানাগরিক ফিরহাদের