কেঁদে-কেটে বৈঠক ছাড়লেন তৃণমূলের নেত্রী! কেন?
মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সহ-সাধারণ সম্পাদিকা সাগরিকা সেন। এলাকায় তাঁর নাম-ডাক কম নেই। কিন্তু, তাঁকেই এভাবে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখে হতভম্ভ হয়ে গেলেন পথচারীরা।
জলপাইগুড়ি: রাজ্য কমিটিতে স্থান পাওয়া সত্ত্বেও জেলা কমিটিতে তাঁর জায়গা হয়নি। ডাকা হয় না মিটিংয়েও। তাতেই রাগ ও অভিমানে দু’চোখের জল মুছকে মুছতে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে চলে এলেন তৃণমূলের (TMC) দাপুটে নেত্রী। সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বললেন, ‘আমি কি ভূত হয়ে গেছি!’
মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সহ-সাধারণ সম্পাদিকা সাগরিকা সেন। এলাকায় তাঁর নাম-ডাক কম নেই। কিন্তু, তাঁকেই এভাবে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখে হতভম্ভ হয়ে গেলেন পথচারীরা।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি জেলাজুড়ে ভরাডুবি হয় তৃণমূলের। প্রায় ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ভোটে জয়ী হয় বিজেপি। সেই সময় তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতির দায়িত্ব ছিল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর কাঁধে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পর ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে তাঁকে সরিয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি হিসেবে কৃষ্ণকুমার কল্যাণীকে দায়িত্ব দেয় তৃণমূলের হাইকমান্ড।
তিনি দায়িত্ব পাওয়ার প্রায় ৬ মাস পর বুধবার তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির প্রথম বৈঠক ছিল। বৈঠকে অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মহিলা তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ-সম্পাদিকা সাগরিকা সেন। তবে বৈঠক ময়নাগুড়ির বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী, গৌতম দেবরা আসেননি।
এদিন বৈঠক চলাকালীন আচমকাই কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসেন সাগরিকাদেবী। বাইরে তখন অপেক্ষারত সাংবাদিকরা। তাঁদের সামনেই জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, “রাজ্য কমিটিতে গিয়ে আমি কি ভূত হয়ে গেছি। আমাকে জেলা কমিটিতে রাখা যাবে না! আমি দলের পুরানো সৈনিক। আর আমাকে কোনও বৈঠকে ডাকা হয় না। এভাবে কোনও দল চলতে পারে না।” এই বলে চোখের জল ফেলতে ফেলতে চলে যান তিনি। দাপুটে নেত্রীর এই অবস্থা দেখে ফিসফাস শুরু হয় পথচারীদের মধ্যেও।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়: সৌমিত্র খাঁ
ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, “উনি এখন রাজ্য কমিটিতে রয়েছেন। দল তাঁকে রাজ্য কমিটিতে রেখেছে। তিনি চাইলেই তাঁকে আমরা জেলা কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারি না। দলের নিয়মশৃঙ্খলা সবাইকে মানতে হবে।” অন্যদিকে বাকি বিধায়কদের অনুপস্থিতি সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য, “গৌতম দেব সরকারি কাজে ভামরিদেবী মন্দিরে গিয়েছিলেন, তাই তিনি আজ আসেননি”। অপরদিকে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাগুড়ির বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী কলকাতায় থাকার কারণে বৈঠকে আসতে পারেননি।
আরও পড়ুন: অবরোধে আটকে গেল ভ্যাকসিন-কনভয়, মন্ত্রী ছুটলেন লাঠি হাতে!