উত্তর দিনাজপুর: লক আপে থাকাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে দ্রুত ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ভোরে তিনি শৌচাগারে যান। বেশ কিছুক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরও না বের হওয়ায়, পুলিশের কর্মীরা খোঁজ করেন। দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলতেই দেখেন শৌচাগারের ছাদে ভাঙা অংশ। রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জেল লকআপ থেকে পালালেন এক বিচারাধীন বন্দি। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বন্দির নাম বিশ্বজিৎ দাস। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৫ তারিখে বিশ্বজিৎ নামে ওই যুবককে অস্ত্র-সহ নেশাগ্রস্ত অবস্থায় পুলিশ আটক করেছিল। তিনি রায়গঞ্জ জেলা সংশোধনাগারে ছিলেন। শনিবার সংশোধনাগারে তিনি আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুলিশ আধিকারিকরা তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।
জানা যাচ্ছে, সেখানেই বন্দিদের সেল থেকে রবিবার ভোরে বাথরুমে যান তিনি। এরপর দীর্ঘক্ষণ সেখান থেকে বের হচ্ছিলেন না। পুলিশ ও হাসপাতালের কর্মীরা তাঁর খোঁজ শুরু করেন। দরজা ধাক্কা দিয়ে ঠেলে শৌচাগারের ভিতরে ঢোকেন। তখনই দেখেন শৌচাগারের ছাদের ওপরের অংশ বেশ কিছুটা ভাঙা। সেই ভাঙা অংশ দিয়েই উধাও হয়ে যান তিনি। বাথরুমে ঢুকে ভাঙা সিলিং দিয়ে তিনি পালিয়া যান বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এই ঘটনায় রীতিমত তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেডিক্যাল কলেজে। পুলিশের তরফে তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে। এখনও পর্যন্ত এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি পুলিশ আধিকারিকরা।
হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার বিপ্লব হালদার বলেন, “রিপোর্ট হয়েছে। তবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমাদের দেখার বিষয় নয়। পুলিশের বিষয়, দেখছে।”