Mid day meal: নুনের বদলে ডিটার্জেন্ট! মিড ডে মিলের খিচুড়ি খেয়েই শুরু বমি

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 03, 2022 | 6:47 AM

School Students: খিচুড়িতে নুনের বদলে গুঁড়ো সাবান মেশানে হয়েছে বলে অভিযোগ। শিক্ষকদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা।

Mid day meal: নুনের বদলে ডিটার্জেন্ট! মিড ডে মিলের খিচুড়ি খেয়েই শুরু বমি
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুদের

Follow Us

ইটাহার : মিড ডে মিল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। তাই বলে নুনের জায়গায় কাপড় কাচার গুঁড়ো সাবান! ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়। অভিভাবকদের দাবি, শুক্রবার মিড ডে মিল খাওয়ার পর থেকেই শিশুরা অসস্থু হতে শুরু করে। নানা রকমের উপসর্গ দেখা দেয় তাদের। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অভিভাবকেরা স্কুলে চড়াও। তাঁদের দাবি, খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানতে পেরেছেন নুনের বদলে খিচুড়িতে মেশানো হয়েছিল ডিটার্জেন্ট বা গুঁড়ো সাবান। এ ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কেউ মুখ খুলতে চাননি। খবর পেয়ে স্কুলে যায় পুলিশ, এসআই।

উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের কাপাশিয়া অঞ্চলের ঘটনা। শুক্রবার মিড ডে মিলের খাবার খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে ছিলিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। জইনুল ইসলাম নামে এক অভিভাবক জানান, খাওয়ার পর থেকেই কারও পেটে ব্যথা শুরু হয়ে যায়, কেউ বমি করতে শুরু করে। অভিভাবকরাই পড়ুয়াদের হাসপাতালে নিয়ে যান। ইটাহার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। বেশির ভাগ পড়ুয়াকেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্কুলের অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে এ দিন সরব হন অভিভাবকেরা। ঘটনার পর প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ঘরে দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান অবিভাবকরা। পরে বিকেলে ইটাহার থানার পুলিশ গিয়ে শিক্ষকদের উদ্ধার করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

জানা গিয়েছে, ছিলিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ২০৮। শুক্রবার স্কুলে গিয়েছিল ১২৭ জন পড়ুয়া। রাঁধুনিদের পাশাপাশি স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও যাতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেই দাবিতেই এ দিন সরব হন অভিভাবকেরা। তবে ইটাহারের বিডিও অমিত বিশ্বাস জানিয়েছেন, ঘটনার কথা জানা মাত্রই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, রাঁধুনিদের শোকজ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্কুল পরিদর্শক বা এসআই এবং যুগ্ম বিডিও-কে স্কুলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। সব দিক খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Next Article